1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
রমজানকে সামনে রেখে কুমিল্লায় চলছে মুড়ি ভাজার উৎসব - Dainik Cumilla
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতালের উদ্বোধন উপলক্ষে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা ব্রাহ্মণপাড়ায় এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়, একটি কলেজের কেউ পাশ করেনি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ৯ কলেজের ৭৩ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৩ জিপিএ-৫ পেল কুমিল্লা সোনার বাংলা কলেজের পায়েল ইসলাম; ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৪৮.৮৬ শতাংশ নাঙ্গলকোটের সাতবাড়িয়ায় রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষে বিএনপির কর্মী সমাবেশ নাঙ্গলকোটে ঢালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে গোপালনগর মহিলা মাদ্রাসায় নবীণ বরণ ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার অবৈধ পণ্য জব্দ

রমজানকে সামনে রেখে কুমিল্লায় চলছে মুড়ি ভাজার উৎসব

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩
  • ২২২ বার পঠিত
সাকলাইন যোবায়ের।।
রমজান উপলক্ষে কুমিল্লায় গ্রাম গুলোতে চলছে মুড়ি ভাঁজার উৎসব। পবিত্র শবেবরাতের আগে থেকে এখন পর্যন্ত চলছে মুড়ির মিলগুলোতে মুড়ি ভাজার ব্যস্ততা। প্রাচীন কাল থেকে রমজানের ইফতারের তালিকায় মুড়ি একটি অন্যতম খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বিধায় রোজার সময় এর চাহিদা বেড়ে যায়। মুড়ির চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত সময় কাটাচ্ছেন এ পেশার সঙ্গে নিয়োজিত শ্রমিকরা।
কুমিল্লার বাগমার,চান্দিনা,পালপাড়া,বেলতলি, বিসিক শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন গ্রামে চলছে মুড়ি ভাঁজার উৎসব। ওই সকল গ্রামের মুড়ি কুমিল্লার শহরের চকবাজার, রাজগঞ্জ, রানীর বাজার ও বাদশামিয়ার বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্র হচ্ছে।
বাগমার,চান্দিনা, পালপাড়া, বেলতলিসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রতিটি ঘরেই সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত শ্রমিকরা মুড়ি ভাঁজার কাজ করেন।
বাগমার ও পালপাড়া গ্রামের এ পেশার সঙ্গে জড়িত আমেনা, শিউলী ও সালমা সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দু’ ভাবে মুড়ি ভেঁজে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। যারা আর্থিক ভাবে একটু স্বচ্ছল তারা নিজেরা বাজার থেকে ধান কিনে প্রক্রিয়াজাত করে মুড়ি ভেজে থাকেন তারা। প্রতি মণ থেকে ৫ শত টাকার কম বেশি আয় করে থাকেন। আর যারা আর্থিকভাবে তেমন স্বচ্ছল না তাদেরকে আরতদাররা বিনামূল্যে দিয়ে থাকেন। আর এই চাল দিয়ে তারা মুড়ি ভেজে আড়তে দিয়ে আসেন।
জ্বালানি কাঠ ও অন্যান্য খরচ বাদে তাদের ১১০ থেকে ১২০ টাকার বেশি খরচ পড়ে থাকে। ২ জন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২ মণ ভাঁজতে পাড়েন। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ পালাক্রমে সবাই মুড়ি ভেজে থাকেন। তবে পুরুষের চেয়ে নারীরা এ কাজে বেশি সময় দেন বলে জানান তারা। মুড়ি ভাঁজার দরুন তাদের দীর্ঘক্ষণ সময় যাবত তাদের জ্বলন্ত চুলার কাছে থাকতে হয় বলে তাদের গায়ের রং কালো ও তামাটে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোজার মাসে তাদের কিছুটা বেশি পয়সা আয় হয় বলে জানান তারা। ওই সকল এলাকার লোকজন বেশির ভাগ মোটা মুড়ি ভেজে থাকেন। টাপি ধানের মুড়ি, বি-আর ১৬, ৫০, ঘি-গজ ধানের মুড়ি, মাল, বি-আর ১১, স্বর্ণা, আছিয়া এ সকল ধানের মুড়ি ভেজে থাকেন।
নগরীর চকবাজার, রাজগঞ্জ ,বাদশামিয়ার বাজারের মুড়ি দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। চকবাজারের আনোয়ার স্টোর, মামনুন স্টোর ও শান্তর মুড়ি দোকানসহ কয়েকটি মুড়ি দোকান ঘুরে জানানা যায়, দি-৫০ মুড়ি প্রকার ভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা,আছিয়া মুড়ি প্রতি কেজি প্রকার ভেদে ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, ঘিগজ ধানের  মুড়ি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং হাতে ভাঁজা টাপি মুড়ি প্রকার ভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুড়ির পাইকারী দোকানদার চকবাজার আনোয়ার স্টোরের মালিক মো.আনোয়ার হোসেন  জানান, রোজার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে একমাত্র মুড়ির দাম বাড়েনি। রোজার আগে যে দর ছিল এখনও ওই দরে বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় চকবাজার মামনুন স্টোরে মুড়ি কিনতে আসা বাবুল মিয়া ও তামজিদেও সঙ্গে। তারা জানান, রমজানের আগে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধগতি থাকলেও শুধুমাত্র মুড়ির দামই গতবছরের মত রয়েছে যা এ রোজায় বাড়েনি।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD