নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের খোশারপাড় নূরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসায় ২১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার তাফসীরুল কুরআন মাহফিল হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার সকালে মাহফিল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলা আহবায়ক আলহাজ্ব নজির আহমেদ ভূঁইয়াকে প্রধান অতিথি করায় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া গ্রুপের নেতা গাজী জাফর, গাজী জয়নাল আবেদীন, গাজী নজির ও ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বে মাহফিলে সমস্যা হবে দাবি করে বাধা দেয়। এছাড়া তাফসির মাহফিলে বাধা প্রদানকারী আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার নেতাকর্মীরা নজির আহমেদ ভূঁইয়া না আসলে মাহফিল হতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষকে জানালে আয়োজকগণ প্রধান অতিথিকে বাদ দিলে তার অ-সম্মান হবে দাবি করে এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় মাহফিল বন্ধ ঘোষণা করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় অনেকে মাহফিল বন্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে।
এ ব্যাপারে খোশারপাড় নূরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসা সেক্রেটারি মাস্টার আব্দুল মতিন ভূঁইয়া মিলন, প্রধান পৃষ্ঠ পোষক আব্দুল্লাহ আল নয়ন, ক্যাশিয়ার বিল্লাল হোসেন মুকুল ও সমাজ সেবক রবিউল হক ভূঁইয়া রুবেল বলেন, নজির আহমেদ ভূঁইয়াকে প্রধান অতিথি করায় সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার কর্মী গাজী জাফর, গাজী জয়নাল আবেদীন, গাজী নজির ও ফয়েজ আহম্মেদ তাফসির মাহফিলে সমস্যা হবে জানিয়ে বাধা দেয়। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় আমরা গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা করে মাহফিল বন্ধ ঘোষণা করি।
অভিযুক্ত গাজী জাফর বলেন, আমি আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার রাজনীতি করি। আমরা মাহফিলে বাধা প্রদান করিনি, আমরা বলেছি যেহেতু আমার নেতৃত্বে গ্রামে একটি বিএনপির অফিস আছে তাই মাহফিলে সমস্যা হলে আমরা দায়ী নয়।
গাজী জয়নাল আবেদীন বলেন, নজির আহমেদ ভূঁইয়াকে অতিথি করা বেমানান কারণ তিনি হচ্ছে উদিয়মান, আর গফুর ভূঁইয়া সুপরিচিত। সেন্টার থেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন আসতেছে গফুর ভূঁইয়া থাকতে ওই এলাকায় কিভাবে নজির আহমেদ ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হয়?
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন মাহফিল বন্ধের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি, খবর নিয়ে দেখবো।