1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়িটি - Dainik Cumilla
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২ চৌদ্দগ্রামে রেলওয়ের জায়গা উদ্ধারে অভিযান, জনরোষের মুখে পিছু হটলো কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতা- ২০২৫ উদ্বোধন চৌদ্দগ্রাম পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মু. মাহফুজুর রহমান বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ ভূমিকা রাখছে….ব্যারিস্টার মামুন এতিম হাফেজ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষদের নিয়ে কুমিল্লায় একাত্তর টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাটে ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লার সদর দক্ষিণে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ২ জন আটক কুমিল্লায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অজ্ঞাত কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক যুবকের মৃত্যু

অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়িটি

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৭ বার পঠিত

সাকলাইন যোবায়ের।।

ভাষাসৈনিকদের অন্যতম একজন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তিনি। মূলত তিনিই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনের বীজবপণকারী। পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাবকারী তিনি। অথচ বাংলার এই সূর্যসন্তানের স্মৃতিবিজড়িত একমাত্র বাড়িটি প্রশাসনের অবহেলা আর উত্তরাধিকারীদের ইতিবাচক সাড়ার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ছয় মাসের মাথায় ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, গণপরিষদে একটি ছোট সংশোধনী প্রস্তাব এনেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। মূল প্রস্তাবে বলা হয়েছিল—ইংরেজির সঙ্গে উর্দুও পাকিস্তান গণপরিষদের সরকারি ভাষা হিসেবে বিবেচিত হবে; ধীরেন্দ্রনাথের সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, সেই সঙ্গে বাংলাও পরিষদের সরকারি ভাষারূপে গণ্য হবে।
তিনি সংশোধনীটি দেন ২৩ ফেব্রুয়ারিতে। আর তা গণপরিষদে আলোচিত হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি।
এ আলোচনার আগে মুসলিম লীগের সংসদীয় দলের সভায় বিষয়টি আলোচিত হয়েছিল এবং তিনি ও মুসলিম লীগ দলীয় আরো কোনো কোনো সদস্য—তাঁদের মধ্যে উর্দুভাষী সদস্যও ছিলেন—তা সমর্থন করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে তারা হেরে যান এবং সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই সংশোধনীর পক্ষে কিছু না বলার জন্যে।

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একাধারে আইনজীবী, সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ। তার জীবন ছিল বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্রময়।
নগরীর ঝাউতলার এ ভাষাসৈনিকের বাড়িটি এখন ময়লা আবর্জনায় সয়লাব। বাড়িটির দক্ষিণ পাশে হাসপাতালের বর্জ্য, অন্যপাশে নালার দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানি, মাঝে টিনশেডের একটি ঘর, তার পেছনে জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে চারকক্ষবিশিষ্ট ভবনটি, যা একেবারে জরাজীর্ণ! টিনশেডের ঘরটির চালও ফুটো, যেটি বৈঠকখানা হিসেবে ব্যবহার করতেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। আর বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটু পানি। চরম অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা বাড়িটির সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ আজও কেউ নেয়নি। ২০১০ সালে তৎকালীন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী বাড়িটি পরিদর্শন করে এখানে ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ বছরেও সেই আশ্বাস পূরণে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে।

কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের দাবি, এই ভাষাসৈনিকের স্মৃতিরক্ষার্থে বাড়িটি সংস্কার, সংরক্ষণ করে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত জাদুঘরে রূপান্তর করা হোক।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD