1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
কুমিল্লার ১৫৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার - Dainik Cumilla
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে কনকাপৈত ইউনিয়নে ০৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল মাহে রমজান সংযম, ত্যাগ, ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয়: সফিকুর রহমান ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু

কুমিল্লার ১৫৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭ বার পঠিত

 

সাকলাইন যোবায়ের।।
বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে
ভাষার জন্য এত বেশি মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছেন। পৃথিবীর অন্য কোন দেশ মাতৃ ভাষার জন্য এত বেশিসংখ্যক মানুষ জীবন দিতে হয়নি। তাই দেশের ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘ স্বীকৃতি পেয়েছে।
দেশের ভাষার স্বীকৃতি এত উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলেও পরিতাপের বিষয় হলো কুমিল্লায় বিভিন্ন উপজেলার বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক
বিদ্যালয় এবং প্রায় মাদ্রাসায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষা অর্জনে। জাতীয় দিবসের গুরুত্ব ও শহীদদের সম্পর্কেও জানতে
পারছে না তারা। কুমিল্লায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে এবং মাদ্রাসার সংখ্যা ৩২২৫ এর মধ্যে ১৫৪৮ টি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই শহীদ মিনার। জেলার প্রাথমিক নেই শহীদ মিনার। আন্তর্জাতিক অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরি মাধ্যমিক অফিসের তথ্য মতে, মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি
শ্রদ্ধা জানাতে বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে কলাগাছ কিংবা বাঁশ-কাঠ দিয়ে করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয়। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে শুধু পতাকা উত্তোলন করে বিশেষ দিবস
পালন করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে দেশপ্রেম বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা
২১০৭টি এর মধ্যে ১২৩৮ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। যা অর্ধেকের চেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার

কুমিল্লা জেলার ১৫৪৮টি শিক্ষা
নেই। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৭৪ টি শহীদ মিনার নেই ৭২ টি বিদ্যালয়ে। স্কুল এন্ড কলেজের সংখ্যা ৫০ টি শহীদ মিনার নেই ৩ টিতে, কলেজের সংখ্যা ১১৭ টি শহীদ মিনার নেই ১৪ টি কলেজে, এবং বিভিন্ন উপজেলায় মাদ্রাসার সংখ্যা ৩৭৭ টি শহীদ মিনার নেই’ ২৫৯ টি যা অর্ধেকের চেয়ে বেশি মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। এ বিষয়ে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.জামাল নাছের বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ সমস্ত বাংলাভাষী অঞ্চলে পালিত একটি
বিশেষ দিবস, যা ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বরে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এটি শহীদ দিবস হিসাবেও পরিচিত। এ দিনটি বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালে এইদিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার)
বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায়
আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের
গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ ছাত্র শহীদ হন। যাঁদের মধ্যে রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত উল্লেখযোগ্য এবং এই কারণে এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। এ বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি জহিরুল হক দুলাল
বলেন, এত বছর পর বাংলার এ দেশে শহীদ মিনার নেই ভাবতেই অবাক লাগে। তবে প্রশাসন অভিভাবক ও স্থানীয় বিত্তশালীরা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন। যে সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তারা পার্শ্ববর্তী নিকটতম স্থানে যেখানে শহীদ মিনার আছে সেখানে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার পাল বলেন, সকল বিদ্যালয়গুলিতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বা শহীদ দিবসটি তাৎপর্য বুঝতে পারতো। আমরা আশাবাদী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান হবে। কুমিল্লা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাইমারি বেশির ভাগ স্কুলেই শহীদ মিনার নেই। আমাদের কাছে মন্ত্রনালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে প্রতিটি স্কুলে শহীদ মিনার করার জন্য। সরকারি উদ্যোগে অনেক স্কুলে শহীদ মিনার করা হয়েছে। আর সেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার এখনো নির্মিত হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন নিজেদের উদ্যোগে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। সত্যি কথা বলতে কী আসলে বিদ্যালয়
গুলোতে শহীদ মিনার না হওয়ার মূল কারণ উদ্যোগের অভাব।
আমরা প্রধান শিক্ষকদেরকে একটি নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি সব
বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD