নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলাধীন ভিংলা বাড়ীর মৃত হাবিবুর রহমানের বিধবা স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার ঘটনায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি আল-আমিনকে গত ১১ জুন দিবাগত-রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন পবনকল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা কোম্পানি অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়- সৌদি আরবে আকামা না পেয়ে আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ২০১০ সালের ৩ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার ভিংলা বাড়ীর মৃত হাবিবুর রহমানের বিধবা স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে বালিশ দ্বারা চাপাদিয়া শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের কন্যা মোছাঃ উম্মে সালমা খাতুন (২২) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে দেবীদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আনোয়ার উল্লাহ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি আল-আমিনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করিলে নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে একই উপজেলার ভিংলা বাড়ী’র সুলতান আহমেদ এর ছেলে আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৪), ডাঃ আঃ সামাদ এর ছেলে আসামি মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), মৃত সুজাত আলীর ছেলে আসামি সুলতান আহমেদ (৬০) ও সাজু মিয়ার ছেলে আসামি আল-আমিন (২০) এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৯৪/১০৯/৩৪ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করিলে মামলাটি বিচারে আসিলে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করে রাষ্ট্রপক্ষে জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি আল-আমিন এর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে পলাতক আসামি আল-আমিন (৩৪) এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড; সেইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং আসামি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে, র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা’র কোম্পানি অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান- প্রাথমিক অনুসন্ধানে গ্রেফতারকৃত আসামী আল আমিন (৩৪) উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। হত্যাকান্ডের পর নিজের গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপনে থাকে। তিনি আরও জানান- র্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১, সিপিসি-২ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।