নেকবর হোসেন :
কোরবানির ঈদ ২৯ শে জুন। ঈদের এক সপ্তাহ আগেই কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির গরু ছাগল সহ অন্যান্য পশু। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বিধায় বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর হাট জমে উঠবে আজ থেকেই এমনটা আশা করছেন সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কুমিল্লায় আসতে শুরু করেছে কোরবানির গরু ছাগল। বেশকিছু স্থায়ী হাটে চলছে কোরবানির গরু ছাগলের জমজমাট কেনা বেঁচা।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, কুমিল্লা জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে এবছর অন্তত ৪৩০ টি কোরবানির পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী পশুর হাট ৩৬ টি। অস্থায়ী পশুরহাট ৩৯৪ টি। সবচেয়ে বেশি পশুর হাট বসবে মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চল্লিশটি করে, এছাড়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলাতেও পশুর হাট বসবে ৩৫ টি।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা সিলেট মহাসড়ক এবং কুমিল্লা নোয়াখালী মহাসড়কে প্রতিনিয়তই দেখা যাচ্ছে কোরবানির পশুবাহী যানবাহন। এসব গাড়িগুলো চট্টগ্রামমুখী হলেও অনেকেই আসছেন কুমিল্লার বাজারে।
এদিকে কোরবানির পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কঠোর অবস্থানে আছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ। তারা বলছেন, সুশৃংখলভাবে হাট পরিচালনার জন্য ইজারাদারদের সকল ধরনের আইন ও নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। প্রতিটি হাটে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে হাসিলের মূল্য। এছাড়া হাটের অভ্যন্তর ছাড়া আশেপাশের রাস্তায় কিংবা পথচারী চলাচলের জায়গায় পশু ওঠানামা করানো যাবেনা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকেও বলা হয়েছে বড় হাট গুলোতে রাখতে হবে ভেটেনারি ডাক্তার এবং জাল টাকা সনাক্ত মেশিন।
এদিকে বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা বলছেন এবছর এখনো পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে কোরবানির পশুর দাম থাকবে সহনশীল। তবে হাটে বেশি গরু ছাগল উঠলে হতে পারে শেষ বাজারে। আর যেসব এলাকায় গরু ও ছাগলের শংকর দেখা দিবে সেখানে দাম বাড়তে পারে কোরবানির পশুর।
কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বাজার চৌদ্দগ্রামের মির্শানি গরুর হাটের সাধারণ সম্পাদক ইসহাক মজুমদার বাচ্চু বলেন, আজ শুক্রবার থেকেই অনেক এলাকাতেই জমে উঠবে কোরবানির পশুর হাট। এবছর উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচুর পরিমাণে গরু আসছে কুমিল্লার হাট গুলোতে। তবে শেষ বাজারে কুমিল্লার স্থানীয় কৃষকদের গরু ছাগল কি হবে বেশি। এখনো যা বুঝা যাচ্ছে এবছর গরু ছাগলের দাম থাকবে সহনশীল।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, মহাসড়কের পাশে কোথাও পশুর হাট বসানো যাবে না। ব্যবসায়ীদের কোন হাটে আসতে বাধ্য করা যাবে না। হাসিলের হার উন্মুক্ত অবস্থায় হাটে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ইজারাদাররা পশুর হাটে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি থাকবে প্রতিটি হাটে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তত্ত্বাবধানে প্রতিটি উপজেলার কোরবানির পশুর হাট গুলোতে সরকারি হাসিলের মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে টানিয়ে দেয়া হবে। হার্টের পরিষ্কার পরিছন্নতা, ভেটেরিনারি চিকিৎসক বসা ও জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন ব্যবস্থাপনায় কাজ করবেই ইজারাদাররা।