নেকবর হোসেন
কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন্স এলাকায় ভুয়া ডাক্তার ধরতে গিয়ে ওই ডাক্তারের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধতাই নেই বলে পুরো ডায়গনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ ভ্রাম্যমান আদালত।
অপর দিকে, জরুরী বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার থাকলেও হাসপাতালের লাইসেন্সই দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালে আবার নেই ডাক্তার ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি। হসপিটালে পাওয়া গেছে অপরিচ্ছন্ন নোংরা কক্ষ এবং মেয়াদ উর্ত্তীণ রক্ত। এসব অনিয়মের কারনে সততা স্পেশালাইজড হসপিটালটি সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়াও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩ টায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সামনে অবস্থিত সততা স্পেশালাইজড হসপিটালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কুমিল্লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার আবদুল কাইয়ুমসহ পুলিশের একটি টিম।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, গত বছরও এই সততা হসপিটালের যারা মালিক তাদেরকে বলা হয়েছিলো লাইসেন্স করার জন্য। তারা তা করেনি। তাদের এই হসপিটালে অনেক অনিয়ম ছিলো। তাদের পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। যন্ত্রপাতি নেই। লাইসেন্স নেই। মেয়াদোত্তীর্ন রক্ত পাওয়া গেছে। অপরিচ্ছন্ন কক্ষ। এসব কারনে হসপিটালটি সিলগালা করেছি।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কানিজ ফাতেমা আরো বলেন, আমরা রোববারের এই অভিযানে পুলিশ লাইনস এলাকায় একজন ভুয়া ডাক্তারকে ধরতে ন্যাশনাল ডিজিটাল স্পেশালাইজড ডায়গোনস্টিক সেন্টোরে যাই। সেখানে গিয়ে ওই ভুয়া ডাক্তারকে পাই নি। তবে ডায়গনেস্টিক সেন্টারটিতে কোন কার্যক্রম পাইনি। তারা দালালের মাধ্যমে রোগী আনে। তারপর বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে। অনেক ডাক্তারের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। যাদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তারা কেউ এখানে রোগী দেখেন না। এসব অপরাধের কারনে ওই ডায়গোনস্টিক সেন্টারটিকেও সিলগালা করেছি।