কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি র্যালি বের করে এবং র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ও ৪১১ নং রুমে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
অধ্যাপক ড মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধুর পঞ্চান্ন বছরের মধ্যে আঠারো বছর কেটেছে জেলে। সেই মানুষের নামে কত অপপ্রচার করছিল বাঙালিরা। বাংলার সন্তানরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর সময় মানুষ ছিল না। আজ আমাদের নেতার জন্মদিনে সবাই সমবেত হয়েছি। বাংলাদেশের সকল কিছুর বঙ্গবন্ধুর অবদান। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর, দালালদের এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের জন্য কাজ করে গেছে আমিও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দূর্নীতিবাজরা যদি বারবার অন্যকে দূর্নীতিবাজ বলে তাহলে কী তাদের দূর্নীতি বিষয়টি আড়াল হবে?
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বাঙালির আড়াই হাজারের বছরের ইতিহাস। তার মধ্যে অনেক নেতা তৈরি হয়েছিল এই বাংলায় কিন্তু কেউ রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে নাই। রাষ্ট্র তৈরি করেছে একমাত্র বঙ্গবন্ধু। যার কারণেই তিনি আজ বাংলার গণ মানুষের বন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আমলে মানে গুণে বড় অনেক নেতা ছিল কিন্তু তাদের কেউ দেশকে স্বাধীনতার স্বাদ দিতে পারে নাই। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ১৭ ই মার্চ বাঙালি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। গোপালগঞ্জের সেই ছোট্ট খোকাই দিয়েছে , মাতৃভাষা, দেশ। সেই পরোপকারী খোকাটা দেশের জন্য নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছে। আর খোকা হয়ে গড়ে উঠার পিছনে রয়েছে সেই বাবা-মায়ের অবদান। বাবা-মা সৎ হলে তাদের সন্তান সৎ হবে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, চিত্রাঙ্কন, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।