1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে: কুবি শিক্ষক সমিতি - Dainik Cumilla
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মওদুদের দায়ের করা মামলা করা মামলা প্রত্যাহার করতে সাইবার অপরাধীসহ সহ বিভিন্ন পেশার পরিচয়ে প্রদান করে নাসকতায় চেস্টায় পুনরায় থানায় জি ডি দায়ের ভবানীপুরে কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত পুলিশের ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের ঘোষণা মওদুদ আবদুল্লাহর প্রাণনাশের হুমকি দাতাদের খুঁজছে পুলিশ ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে ভাষা সৈনিক ড.জসিম উদ্দিন স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া ব্রাহ্মণপাড়ায় দুদকের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ কুমিল্লার মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ সমর্থকদের সমাবেশে হামলা, সাংবাদিকসহ আহত ১০ বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর বেরিবাঁধে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, উচ্ছেদ অভিযান শুরু নাঙ্গলকোটে সহায়তায় নির্মিত হতদরিদ্র বিধবার বাড়ি-ঘর দখল চেষ্টার অভিযোগ

উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে: কুবি শিক্ষক সমিতি

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৩০৭ বার পঠিত

কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন শিক্ষকদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

৯ মার্চ (শনিবার) সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা বলেন, গত ৬ মার্চ ২০২৪, বুধবার আনুমানিক দুপুর ২:৩০ ঘটিকার সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য শিক্ষকদের সাথে কথোপকথনের এক পর্যায়ে উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলতে থাকেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক কলম লিখতে পারে না, শিক্ষকরা ক্লাস পরীক্ষা নেয় না, শিক্ষকরা গবেষণা করে না, তারা টাকা দিয়ে পাবলিকেশন করে” ইত্যাদি। যার ভিডিও রেকর্ড শিক্ষকদের কাছে সংরক্ষিত আছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯২ জন শিক্ষক দেশে-বিদেশে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা কাজ পরিচালনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ইউজিসির অর্থায়নে গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং প্রতিষ্ঠান এর অর্থায়নে গবেষণা প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে গবেষণা কর্ম সম্পাদন করছেন।স্বীকৃত এবং আন্তর্জাতিক মানের মানসম্পন্ন জার্নালে গবেষণা প্রকাশনা করছেন। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনা, মাঠকর্ম তত্ত্বাবধান, রিসার্চ মনোগ্রাফ সুপারভিশন এবং থিসিস সুপারভাইজার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষকরা যদি ক্লাস-পরীক্ষা না নেন, গবেষণা না করেন, গবেষণা আর্টিকেল প্রকাশ না করেন, তাহলে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট দূর হয়েছে, কিভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্মরত শিক্ষকরা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন, কিভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, শিক্ষকতা এবং অন্যান্য পেশাগত ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে, কিভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং বৃদ্ধি পাচ্ছে? আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, গবেষণা, বিসিএস শিক্ষা, প্রশাসন,পুলিশ, করসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, মাল্টিন্যাশনাল ও কর্পোরেট সেক্টরসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় পেশাদারিত্বের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক পরিসরেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্বিবিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষককতা, গবেষণার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহে চাকরি করছে।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অর্জন গত দুবছরের নয়, এ অর্জন ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পঠন-পাঠন এবং গবেষণায় নিরলসভাবে শিক্ষককদের প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণের ফসল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাননীয় উপাচার্য তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানী করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি জাতির সামনে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। তার এ বক্তব্যে দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ, চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কর্মপরিবেশে দ্বিধা বিভক্তি এবং কম যোগ্যতাসম্পন্নদের অতিরিক্ত সুযোগ- সুবিধা প্রদান এবং অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্নদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছেন। তার এ ধরনের বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে কিংবা যথাযথভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD