মো:ওমর ফারুক মুন্সী
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে ছোট বড় প্রায় ৩ শতাধিক মরা গাছ রয়েছে। বৃষ্টি এবং প্রচÐ ঝড়ো বাতাসে এসব গাছের শুকনো ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে আহত হচ্ছেন পথচারী এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন। গোড়া পঁচে গিয়ে ভঙ্গুর হয়ে পড়ায় আস্ত গাছ ভেঙ্গে পড়ে বড় রকমের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন অনেকে। মঙ্গলবার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ছগুরা থেকে ভিংলাবাড়ি পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের দুই পাশে শিশু, মেহগনি, রেইনট্রিসহ অসংখ্য মরা গাছ ভাঙা ডাল-পালা নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন।
কোনোটিতে ঘুণে ধরেছে, আবার কোনোটিতে কাঠপোকা বাসা বেঁধেছে। মরা কয়েকটি গাছ সড়কে হেলে পড়েছে। এতে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়কের পাশের দোকানী ও বাসিন্দারা।
এ ছাড়াও ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় দেবিদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর এলাকায় এসব মরা গাছের নিচে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। ফলে বেশ কিছু গাছের গোড়া পুড়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি বা বাতাস এলে সড়কেই ভেঙে পড়ছে মরা গাছ ও ডালপালা। এতে আহত হচ্ছেন পথচারি, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন।
জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, এ সড়কে মরা গাছগুলো মানুষের নির্বিঘেœ চলাচলে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। হালকা বাতাস এলেই সড়কের ওপর ভেঙে পড়ছে আস্ত গাছ ও শুকনো ডালপালা। এতে অনেক পথচারী ও যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। মরা গাছগুলো দ্রæত অপসারণ করা দরকার।
মহাসড়কে নিয়মিত চলাচল করা সিএনজি চালক আবু কালাম বলেন, একবার প্রচÐ বাতাসে আমার সিএনজির ওপর মরা গাছের একটি ডাল ভেঙে পড়ে, আমিসহ সিএনজির যাত্রীরা অল্পতে রক্ষা পাই। ঝড়-বৃষ্টির দিনে এ সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হলে একটা আতঙ্কে থাকি, কখন আবার গাছ বা ডাল ভেঙ্গে পড়ে।
দেবিদ্বার উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি শীঘ্রই ফোর লেনে উন্নীত হবে, যার কারনে এ সড়কের মরা ও জীবিত ৩ হাজার ৪০০টি গাছ কেটে জায়গা প্রশস্ত করা হবে। আলাদা ভাবে তাই মরা গাছ কেটে অপসারণের চিন্তা করছে না বন বিভাগ।