1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
২০০ বছরের পুরোনো রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৫০ পরিবার - Dainik Cumilla
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অবৈধ রেগুলেটর ধ্বংস কুমিল্লায় সড়কের পাশে সরকারি গাছ কেটে নিলেন যুবদল নেতারা ব্রাহ্মণপাড়া ষাইটশালা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির উপজেলা শাখার মতবিনিময় অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণপাড়ায় একাধিক মামলার আসামীসহ ৪ জন গ্রেপ্তার পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের লিফলেট বিতরণ কুমিল্লা সিটির কর্পোরেশনের এক লাখ ২২ হাজার শিশু কিশোর পাচ্ছে টাইফয়েড টিকা কুমিল্লায় তেল পরিমাপে গরমিল হওয়ায় ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা মাদক ও বাল্যবিবাহের বিরোদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসির সচেতনা মূলক সভা  ব্রাহ্মণপাড়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

২০০ বছরের পুরোনো রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৫০ পরিবার

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৪১ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার:

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কালাকচুয়া গ্রামে চাঁদা না দেওয়ায় প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো রাস্তার উপরে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৫০ টি পরিবার।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কালাকচুয়া গ্রামে এলাকাবাসীর প্রায় ২০০ বছরের চলাচলের রাস্তা স্থানীয়ভাবে দখল করে প্রাচীর নির্মাণের করেন একই এলাকার মৃত সফিকুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেন (৪২) ও একই গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (৪০)। কবির হোসেন ও জসিম উদ্দিনরা বারবার এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাধা দিতো ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে। এই রাস্তা নিয়ে নিম্ন আদালতে একটি মামলাও চলছিলো। আদালতের আদেশ তোয়াক্কা না করেই শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কবির হোসেন ও জসিম উদ্দিন অজ্ঞাতনামা কয়েকজন লোক এনে রাস্তার মধ্যে প্রাচীর তুলে দেয়। পরে, স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদেরকে হুমকি ধামকি দেয় ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে ভয় দেখায় ও প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।

এসময় ভুক্তভোগী পরিবাররা জরুরী সেবা সেন্টার ৯৯৯ এ কল দিলে, পুলিশ এসে কাজে বাধা দিলে তারা পুলিশের কথা না মেনেই এই দেয়াল তুলে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গেলে কয়েকজন গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, ‘গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে প্রাচীর দিয়ে দিয়েছে। আমরা কয়েকজন গ্রামবাসী এলাকার ইউপি সদস্য কামাল হোসেনকে বিষয়টি জানালেও তিনি এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি,বরং উল্টো নিজে থেকে প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

অথচ, প্রায় ৫০ টি পরিবারের ৫০০ জন মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়া, এই রাস্তা দিয়েই পার্শ্ববর্তী গ্রামেও যাওয়া যায়। রাস্তায় এমন প্রাচীর নির্মাণ হওয়ায় ভুক্তভোগী মানুষরা না পারছে কাজকর্মে যেতে,বাচ্চারা না পারছে স্কুলে যেতে, না পারছে মসজিদে যেতে বা বাজারে যেতে।

ভুক্তভোগী আমেনা বেগম বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে এ রাস্তা আমরা ব্যবহার করে আসছি, হঠাৎ কবির আমাদের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন, না হলে আমাদের চলাচলে রাস্তা বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দিতো, টাকা না দেওয়ায় আমাদের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে,আমরা এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না, ছেলে মেয়েরা স্কুলে কলেজে যেতে পারছে না। প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের রাস্তা আমাদের ফিরে দেন।

আরেক ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, তিনদিন ধরে মসজিদে যেতে পারছি না, বাড়ি বসে আমরা পুরুষরা নামাজ আদায় করছি, পুরো রাস্তা কবির ও জসিম দেয়াল তুলে বন্ধ করে দিছে। এ দেশে জুলুমবাজদের কি বিচার হবে না, আমাদের জায়গায় সে দেয়াল তুললো,অথচ সরকারের লোকজনের কাছে গেল তারা চুপ থাকে,আমরা এখন কই যাবো।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত কবির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যে জায়গায় প্রাচীর তুলেছি, সেটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। আর এছাড়াও, তারা যদি তাদের রাস্তার জায়গা না রেখে বাড়িঘর দিয়ে দেয় সেখানে আমি কি করবো। আর, আমি তাদেরকে কোনো হুমকি ধামকি কিংবা লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করি নি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

ইউপি সদস্য কামাল হলেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, তা ভিত্তিহীন। এরা তাদের মধ্যাকার ঝামেলা, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। ইউপি চেয়ারম্যানসহ আমরা এলাকাবাসীরা বসে এই বিষয়ে সমাধান করবো।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আকতার বলেন, আমি এই বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি। সে এই বিষয়ে দুইপক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করবেন।

এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, আমি গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়েছি, উপজেলা দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি, যাতে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD