নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে সম্মেলন চলাকালে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী খোশারপাড় গ্রামের গাজী জাফর তার ভাই জাকারিয়া, ছালেহ আহমদ ও ভাতিজাদের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে অপর সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী একই গ্রামের হায়াতুন্নবী সমর্থীত নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ৫জন গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের দেখতে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিতে রবিবার বিকালে খোশারপাড় গ্রামে আহতদের বাড়িতে যান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক আলহাজ্ব নজির আহমদ ভূঁইয়া ও উপজেলা সদস্য সচিব নুরুল আফসার নয়ন।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলেন খোশারপাড় গ্রামের বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ফারুক ভূঁইয়া, তার বড় ভাই রবিউল হক ভূঁইয়া রুবেল, ছোট ভাই যুবদল নেতা জনি ভূঁইয়া, শিবপুর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী হায়াতুন্নবীর ভাগিনা খোশারপাড় গ্রামের আবু নোমান ও ভাতিজা আহসান উল্লাহ। আহতদের বিএনপি নেতাকর্মীরা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হামলার ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় এবং ছবিসহ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর শিবপুর ওয়ার্ড কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি। কমিটি বাতিল করে প্রকাশ করা নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৫ জনকে গুরুতর আহত করা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কাউন্সিলরদের তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ২নং পেরিয়া ইউনিয়নের ৮নং শিবপুর ওয়ার্ড কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হলো।
নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আগমনের খবরে খোশারপাড় ও শিবপুর গ্রামের শতশত নেতাকর্মী এসে মিছিল নিয়ে তাদেরকে অব্যর্থনা জানান। এসময় স্থানীয় নেতাকর্মী ও আহতরা হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন এবং তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
আহতদের দেখতে গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলা আহ্বায়ক আলহাজ্ব নজির আহমদ ভূঁইয়া বলেন, যারা শিবপুর ওয়ার্ডসহ উপজেলা ব্যাপী সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে তাদের ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যারা হামলা ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত তারা গত সাড়ে ১৬ বছর আওয়ামী স্বৈরাচারের দালাল ছিল। যে সকল স্থানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে ওই সকল ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করে পুনরায় সম্মেলন দিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়াও যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।