1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
দেবিদ্বারে স্কুল  ছাত্রীর শ্লীলতা হানি- কাটেনি আতংক; বন্ধ ছিলো সাপ্তাহিক হাট - Dainik Cumilla
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ আমার পরিচয়ে কেউ তদবির-চাঁদাবাজি করলে আইনি ব্যবস্থা নিন: আবু রায়হান দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত আধুনিক দেশ গড়তে যোগ্য ও সৎ মানুষের বিকল্প নেই…ডক্টর এডভোকেট মোবারক হোসাইন ব্রাহ্মণপাড়ার সালদানদী বিজিবির অভিযানে দুই ভারতীয় নাগরিক আটক ব্রাহ্মণপাড়ায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন মালিকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা, ৬শ ফোট পাইপ বিনষ্ট কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ২৭ লাখ টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ কুমিল্লায় ১২ মামলার আসামি ইয়বাসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাচ্ছে প্রায় ৩৭ হাজার শিশু চৌদ্দগ্রামে পরিবারের সাথে অভিমানে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা দাউদকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক অটোরিকশাচালক নিহত

দেবিদ্বারে স্কুল  ছাত্রীর শ্লীলতা হানি- কাটেনি আতংক; বন্ধ ছিলো সাপ্তাহিক হাট

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১৭১ বার পঠিত

দেবিদ্বারে স্কুল  ছাত্রীর শ্লীলতা হানি- কাটেনি আতংক; বন্ধ ছিলো সাপ্তাহিক হাট

দেবিদ্বার প্রতিনিধি।

কুমিল্লার দেবীদ্বারে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনার ৫ দিন পর রোববার দুপুরেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার মাত্র ১৫%। হাটবাজার ও দোকান-পাট এখনো খুলেনি। মাশিকাড়া ও আশ-পাশের গ্রামগুলোতে কিশোর, যুবক ও মধ্যবয়সী লোকজন এখনো ফিরেনি। গ্রামের কিছু লোকজন দিনের আলোতে বাড়ি ফিরলেও সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ত্যাগ করছেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে গতকাল রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল উপজেলার মাশিকাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার রাস্তা-ঘাট একদম ফাঁকা। গ্রামে পুরুষের তেমন উপস্থিতি নেই। স্থানীয় বাজারে রোববার সাপ্তাহিক হাটবার থাকলেও খুলেনি দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঘটনার পর মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল খুবই নগন্য। বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা যায় অভিভাবকদের সাথে নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসেছেন। এদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১২০ জনের মধ্যে ১১ জন পরীক্ষার্থী কোচিং ক্লাশে উপস্থিত হলেও কোন ছেলে পরীক্ষার্থী উপস্থিত হয়নি। দশম শ্রেণীর ১১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জন ছাত্রী ও ২ ছাত্রসহ ১৮ জন, নবম শ্রেণীর ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন ছাত্রী ও ৫ জন ছাত্র সহ ১২ জন, অষ্টম শ্রেণীর ৮৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন ছাত্রী ও ৭ জন ছাত্রসহ ১৫ জন, সপ্তম শ্রেণীতে ১০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ জন ছাত্রী ও ৪ জন ছাত্রসহ ১৯ জন, ষ্ষ্ঠ শ্রেণীতে ১৪২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন ছাত্রী ও ৯ জন ছাত্রসহ ১৬ জন উপস্থিত ছিল।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ মোট ৬৬৬জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৯১ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং অনুপস্থিত রয়েছে ৫৭৫ জন।

রোববার (১৯মার্চ) বিকেল ৫টায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ বাহারুল হক জানান, আমরা মাইকিং করে, ফোনে ফোনে যোগাযোগ করে, বিদ্যালয়ের নামে ও প্রত্যেক শিক্ষক ও কমিটির লোকদের ফেইসবুক আইডি থেকে ষ্ট্যাটাসে আহবান জানিয়ে, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও এলাকার গন্যমান্য লোকদের নিয়ে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি যেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বুঝিয়ে অভয় দিয়ে বিদ্যালয়ে আসার আহবান জানাই। অভিভাবকদের সাথে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই শিক্ষার্থীদের পদভারে বিদ্যালয়ের আঙ্গীনা মুখর হয়ে উঠবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বিশিষ্ট ব্যাক্তি জানান, আমাদের এলাকাটি এখন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের পরিস্থিতিতে দাড়িয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে বাজারে এসে ঔষধ কিনতে পারছিনা, গ্রেফতার আতঙ্কের ভয়ে দেবীদ্বারও যেতে পারছিনা। এ এলাকার নারীরা ধার্মিক, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যেতনা। কিন্তু এখন জীবনের প্রয়োজনে তারাই বাজারের পথে দাঁড়িয়ে গাভির দুধ ক্রয়-বিক্রয় করছেন।

এদিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নিকট আত্মীয় জানান, এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাটি মিথ্যা সাজিয়ে ধামা চাপা দেয়ার জন্য স্কুল কমিটি ও প্রশাসনের লোকজনকে প্রভাবিত করতে ষড়যন্ত্র করছে। আজ ৪ দিন হলেও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ্য থেকে পরিস্থিতির উন্নয়নে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়নি, তদন্ত কমিটি গঠন কিংবা শ্লীলতাহানির ঘটনায় জেল হাজতে থাকা প্রধান শিক্ষক মোকতল হোসেনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। একজন চরিত্রহীন শিক্ষকের অপকর্মের খেসারত দিচ্ছে কয়েক গ্রামের মানুষ। তিনি আরো জানান, ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিক থাকলেও ১৫ মার্চ নষ্টছিল বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছিলেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ৫ দিনেও কোন কার্যকর ববস্থা নেয়া হয়নি।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD