নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের তুলাবাড়ি এলাকার সৌদিআরব প্রবাসী মাঈন উদ্দিন ও তার ভাই মোবারক হোসেনের নির্মাণাধীন বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, পানি ঢেলে সিমিন্ট নষ্ট করা, পিলারের জন্য তৈরি লোহার খাঁচা ও গাথুনির ইট ভাঙচুর এবং ২টি মোটর, সিমেন্ট, রড ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া হামলাকারীরা ওই নির্মাণাধীন বাড়িতে কর্মরত মিস্ত্রিদের ২টি রড কাটার মেশিন সহ তাদের কাজের সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন কন্ট্রাক্টর পাশ্ববর্তী গান্দাছি গ্রামের শাহজালাল মজুমদার। গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় ১১জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন ভূক্তভোগীদের পিতা আবুল কালাম মজুমদার। ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ওই প্রবাসী পরিবারের আনুমানিক ১১লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে পাশ্ববর্তী গান্দাছি গ্রামের ওমর ফারুক, শাকিল, শাহরিয়ার, খোরশেদ আলম স্বপন, সোহান, নাদিম এর নাম উল্লেখ সহ ১১জনকে আসামী করা হয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দু’ দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্যামপুর তুলাবাড়ি এলাকায় সৌদিআরব প্রবাসী মাঈন উদ্দিন ও তার ভাই ঢাকায় কর্মরত মোবারক হোসেনের যৌথ ভাবে নির্মাণাধীন বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাশ্ববর্তী গান্ধাছী গ্রামের পূর্বপাড়া আলী আক্কাস চেয়ারম্যান বাড়ীর মরহুম আবুল বসরের ছেলে ওমর ফারুক (৩৫), মিজানুর রহমানের ছেলে সাকিল (২৫), শাহরিয়ার (২০), মরহুম মনু মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম স্বপন (৩২), মরহুম জাফরের ছেলে সোহান (২০), জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাদিম (২০) সহ অজ্ঞাত নামা ৪-৫ জনের একটি গ্রুপ হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা নির্মাণাধীণ বিড়িটিতে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে একটি ঢিবটিউয়েল ভেঙ্গে ফেলে, সিমেন্টর এর বস্তা খোলে পানি দিয়ে নষ্ট করে ও পিলারের জন্য তৈরি রডের খাঁচা ভেঙ্গে ফেলে এবং নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য নির্মিত ঘরটির দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মালামাল লুটপাট, জিনিস পত্র ভাংচুর করে অন্তত ১১লাখ টাকার ক্ষতি করে। হামলার সময় ছেলেরা কেউ বাড়িতে না থাকায় ভূক্তভোগী মাঈন উদ্দিন ও মোবারক হোসেনের বৃদ্ধ পিতা আবুল কালাম মজুমদার এবং মা মনোয়ারা বেগম বাধা দিলে হামলাকারীরা তাদেরকে আক্রমন করে ও বৃদ্ধ দম্পতি সহ তাদের ছেলেদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্যামপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে এসে দেখি সব ভাঙচুর করে তছনছ করে ফেলেছে এবং মালামাল গুলো নিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত খোরশেদ আলম স্বপনের মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিয়ে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলমান আছে।