চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মো: মাহফুজ মজুমদার (৩৮) নামে এক ইউপি সদস্যের উপর হামলা ও ব্যাপক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতর্কিত এ হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। শোর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত অনুমান ৯টায় উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা বাজার এলাকায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি ইউপি সদস্য মাহফুজ মজুমদার ২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ৯টায় ইউপি সদস্য মো: মাহফুজ মজুমদার কাজ সেরে স্থানীয় দেড়কোটা বাজার থেকে নিজ বাড়ীর দিকে ফিরছিলেন। এমতাবস্থায় অভিযোগে উল্লেখিত উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদ এর ছেলে মো: শহীদ (২৫) ও একই গ্রামের সালেহ আহম্মদ এর ছেলে মো: ফাহাদ (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির যুবক কথা আছে বলে ইউপি সদস্য মাহফুজ মজুমদারকে বাজারের পাশের নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তারা ইউপি সদস্যের উপর হামলা করে এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি, লাথি-উষ্ঠা মারিয়া মারাত্মক নীলাফুলা রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ইউপি সদস্যকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী শহীদ চাপাতি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে অপর হামলাকারী ফাহাদ তার হাতে থাকা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। এ সময় অপর অজ্ঞাতনামা হামলাকারীরা তাতে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং তার হাতে থাকা একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন যার অনুমান মূল্য ২৬ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের রিং যার অনুমান মূল্য ৫৫ হাজার টাকা ও সাথে থাকা সরকারি কাজের বিলের উত্তোলনকৃত নগদ প্রায় ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। শোর-চিৎকার শুনে বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার উপরের ঠোঁট ও দাঁতের মাড়িতে ৩টি করে মোট ৬টি সেলাই লাগে। ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল ও ডান হাঁটু ভাঙ্গা যুক্ত রক্তাক্ত জখম হয় বলে জানা গেছে। চিকিৎসা শেষে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের সাথে পরামর্শ করে ভুক্তভোগি ইউপি সদস্য ২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ওইদিন রাতেই থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত মো: শহীদ ও মো: ফাহাদ সহ অপরাপর হামলাকারী যুবকরা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। ন্যাক্কারজনক এ হামলার বিচার চেয়েছে সচেতন মহল সহ এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ইউপি সদস্যের উপর হামলার ঘটনার অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে। হামলার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের আটকের বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।