1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
তিতাসে গোমতীর স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন বাড়িঘর, খোলা আকাশের নীচে শত শত পরিবার - Dainik Cumilla
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত ৬ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের ১৩ সদস্য বিশিষ্টকমিটি ঘোষণা সময় টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি বাহার রায়হানের উপর সন্ত্রাসী হামলা কুমিল্লায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ১২০ টাকায় চাকরি পেলেন ৭৫ জন বৈষম্য ও সু-বিচার নিশ্চিত প্রসঙ্গে কিছু কথা তারেক রহমান ১৭ বছরে দেশে না এসে বিএনপিকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছেন ; কুমিল্লায় মির্জা আব্বাস ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার প্রতিবাদে কুবি শাখা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল লাকসামে সাগরীকা বাস উল্টে এক যাত্রী নিহত: আহত ৭ কুমিল্লায় চালু হলো এখন চার্জের দ্বিতীয় ইভি চার্জিং স্টেশন

তিতাসে গোমতীর স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন বাড়িঘর, খোলা আকাশের নীচে শত শত পরিবার

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৪৬ বার পঠিত

 

মহসিন বিন হাবিব তিতাস:

বন্যায় গোমতী নদীর স্রোতে ভাঙনের কবলে কুমিল্লা তিতাস উপজেলা নারান্দিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ও পূর্ব পাড়া। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অনেকর বাড়িঘর, মসজিদ বৈদ্যুতিক খুটি, মুরগির খামারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর তীরবর্তী শত পরিবার নদীভাঙন আতঙ্কে খোলা আকাশের নীচে রাতজেগে পাহারা দিচ্ছেন তীরবর্তী শত শত নারী পুরুষ। এছাড়া প্রতিবছর শত শত বসতভিটা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যাবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। দিশেহারা এখানকার শত শত পরিবার। টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গোমতীতে ক্রমশই বাড়ছে স্রোতের গতি। হুমকির মুখে রয়েছে উভয় পাড়ের শত শত বসতভিটা ও বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহর অধিক সময়ে নদী ভাঙনে অনেকের বসতভিটা, জমিজমা’ ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। স্রোত বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শত শত পরিবারের বসতভিটা হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় শত শত পরিবার অন্যত্র ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন । আবার কেউ বিল্ডিং এর ভেতর থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন,আবার কেউ আধা পাকা ঘরের টিনের চাল খুলে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এখন নৌকা ছাড়াও চলাচল দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

সর্বক্ষণ আতংকে, অনিদ্রা, অনাহারে প্রহর গুনছেন সহায়, সম্বলহীন মানুষগুলো ।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় পঞ্চাশ বছর যাবৎ আমরা এই গড়া এবং ভাঙনের খেলা খেলছি । আমরা আর পারছিনা আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। ভাঙনের এই তাণ্ডব ছেড়ে হাজারো পরিবার অন্যত্র চলে গেলেও আমরা পারছি না আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে। আমাদের আপনারা বাচাঁন।

নারান্দিয়া পশ্চিম পাড়া হাকিম হাজী বললে আমার সব কিছু হারিয়ে আমি এখন নি:শ্ব। আমি শুধুই অন্ধকার দেখছি। আমার যতটুকু যায়গা ছিল তা নিদী গর্ভে বিলীন হয়ে শেষ আশ্রয়টুকুও শেষ। আমি এখন কোথায় যাব??। অপরদিকে মৃত আলতাফ আলীর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই, তারপর প্রবাসে ছেলেটাও মারা যায়, সব হারিয়ে শেষ সম্বল এই যায়গায় আশার বাসা বেধেছিলাম। এটিও হারিয়ে গেল এখন আমার যাবার কোন যায়গা নেই। আমার নাতিপুতিদের নিয়ে কোথায় থাকব।

সরকার যদি আমাদের পাশে দাড়ান তবে আমরা কোন রকম বাচঁতে পারব। এ ছাড়া আমারদের আর কোন রাস্তা নেই।
এ ব্যাপারে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, আমরা সর্বদাই তাদের খোঁজ নিচ্ছি। তাছারা তাদের ঘরে ঘরে ত্রান দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের লিস্ট করেছি সরকারি বরাদ্দ এলে তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব। এবং তাদের থাকার ব্যাপারে কোন সমস্যা হলে তাদের জন্য আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলো খোলা আছে। সেখানে তারা আশ্রয় নিতে পারবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD