1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
কুবির ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গবেষণার 'অর্থ আত্মসাৎ'এর অভিযোগ - Dainik Cumilla
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২ চৌদ্দগ্রামে রেলওয়ের জায়গা উদ্ধারে অভিযান, জনরোষের মুখে পিছু হটলো কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতা- ২০২৫ উদ্বোধন চৌদ্দগ্রাম পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মু. মাহফুজুর রহমান বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ ভূমিকা রাখছে….ব্যারিস্টার মামুন এতিম হাফেজ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষদের নিয়ে কুমিল্লায় একাত্তর টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাটে ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লার সদর দক্ষিণে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ২ জন আটক কুমিল্লায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অজ্ঞাত কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক যুবকের মৃত্যু

কুবির ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গবেষণার ‘অর্থ আত্মসাৎ’এর অভিযোগ

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ১০৪২ বার পঠিত

 

কুবি প্রতিনিধি:

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা সমাধান কিংবা দাবিদাওয়া পূরণের মাধ্যম ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কার্যালয়ের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধেই উঠেছে এবার শিক্ষার্থীদের ‘অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জব ফেয়ার অথবা নবীন বরণ আয়োজনে স্পন্সর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে প্রীতি রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের মৌখিক ভাবে একটি চুক্তি হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের প্রধান ভিসি কর্তৃক নিযুক্ত হন। চুক্তি অনুযায়ী ফার্মের একটি প্রজেক্টের (কোমলপানীয় নিয়ে বাজার গবেষণা) জন্য শিক্ষার্থীদের দ্বারা ৫০০ স্যাম্পল সংগ্রহ করে দেয়ার কথা বলা হয়। যার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের পারিশ্রমিকসহ প্রায় ‘একলক্ষ’ টাকা দেয়ার কথা বলেন ফার্মের এমডি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিমান্ড ছিল ‘দেড়লক্ষ’ টাকা।

এরপর ২০২৩ সালের ৭ জুন একটি কর্মশালার মাধ্যমে প্রজেক্টের কাজ শুরু হয় যা ১৯ জুনের মধ্যে শেষ হয়। এতে ৪ জন তথ্যদাতা সংগ্রাহকের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে ৮ জন শিক্ষার্থী কাজ করেন। যারা হলেন, তন্ময় সরকার, আমিন, জয়, সোমা, মৌ, সুরুপা, মাওয়া, মুনমুন। এছাড়াও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেন আহনাফ শাহরিয়ার রিকি।

এদিকে প্রজেক্ট বাস্তবায়নের পর ‘এক লক্ষ’ টাকা দেয়ার কথা বলা হলেও কনসালটেন্সির এমডি নাঈমুর রহমান শিক্ষার্থীদের পারিশ্রমিকসহ ৭০ হাজার টাকার বেশি দিতে পারবেননা বলে জানান। তিনি বলেন, প্রজেক্টটি যথাযথ ভাবে বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের সম্মানে অতিরিক্ত ২০-৩০ হাজার টাকা দিবো বলে জানাই। কিন্তু ছাত্রপরামর্শক ও প্রজেক্ট বাস্তবায়নকারীদের অসহযোগিতায় আমাদের অনেক স্যাম্পল বাদ পড়ে যায়। তাই আমরা অতিরিক্ত টাকা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
তবে প্রজেক্ট বাস্তবায়নে অসহযোগিতার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানান। তাদের ভাষ্য, প্রজেক্ট চলাকালীন ফার্মের প্রতিনিধি হিসেবে সার্বক্ষণিক একজন নিয়োজিত ছিল। যিনি সেসময় শিক্ষার্থীদের কিছু জানাননি।

কনসালটেন্সি ফার্ম ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের অ্যাকাউন্টে ৭০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। যেখান থেকে শিক্ষার্থীদের পারিশ্রমিক বাবদ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটরের ৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা রয়েছে কিন্তু অর্থ প্রাপ্তির প্রায় একবছর পার হয়ে গেলেও ছাত্র উপদেষ্টা ড. হাবিবুর রহমান শিক্ষার্থীদের অর্থ পরিশোধ করেননি। এমনকি কোন জব ফেয়ার কিংবা নবীনবরনেরও আয়োজন করা হয়নি।

এবিষয়ে কো-অর্ডিনেটর আহনাফ শাহরিয়ার রিকি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জব ফেয়ার আয়োজনের জন্য স্পন্সর হিসেবে প্রজেক্টটি ক্যাম্পাসে আনার ব্যবস্থা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমরা কম টাকায় প্রজেক্টটি করে দেই। যেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের লাভবান হওয়ার পাশাপাশি জুনিয়ররাও যেন গবেষণার হাতেখড়ি শিখতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে ছাত্র পরামর্শক দপ্তরের অসহযোগিতার কারণে আমাদের বেগ পোহাতে হয়। এতকিছুর পর কোম্পানি আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিলেও স্যার তা গোপন করেন। যা অর্থ আত্মসাতের শামিল। অনেক সময় পার হলেও আমরা চাই, আমাদের প্রাপ্য দ্রুত বুঝিয়ে দেয়া হোক। নয়তো আমরা আইনী ব্যবস্থায় বিষয়টি নিয়ে আগাবো।

তথ্য সংগ্রহকারী তন্ময় সরকার বলেন, আমরা এই বিষয়ে স্যারের সাথে পাঁচবারের বেশি দেখা করি। শুরুর দিকে স্যার বলতেন, কনসালটেন্সি ফার্ম ওনার কাছে টাকা দিলে আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিবেন। কিন্তু ওই প্রজেক্টের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্যার আমাদের অর্থ প্রাপ্তির বিষয়ে কিছু জানাননি। ৪-৫ মাস আগেও আমরা স্যারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি আমাদের সময় নেই বলে এড়িয়ে যান। তবে এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ড. হাবিবুর রহমান বলেন, আমার সাথে কেউ দেখা করেনি এবিষয়ে। একজন এসেছিল তাকে বলেছি, তোমরা প্রজেক্ট ফেল করেছো।

এদিকে ফার্মের এমডি অর্থ প্রেরণের বিষয়ে বলেন, আমরা যখন টাকা দিতে চাই ওই শিক্ষক প্রথমে হ্যান্ড ক্যাশ নিতে চান কিন্তু আমরা ডকুমেন্ট ছাড়া দিবোনা বলে জানাই। পরবর্তীতে তিনি বলেন, ওনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দিতে আমরা তাতেও আপত্তি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট দেয়ার কথা বলি। তারপর উনি ছাত্রপরিচালনা দপ্তরের নামে জনতা ব্যাংকের একটি নম্বর দিলে আমরা স্টুডেন্টদের পারিশ্রমিকসহ ৭০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেই।

তবে অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহা. হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করলেও প্রাপ্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের নয় বলে জানান। তিনি বলেন, ফার্ম কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা প্রজেক্টে ফেল করেছে। তারা কাজ ঠিকভাবে করে নি। তাই তাঁরা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে টাকা দিয়েছে।
তবে ফার্মের এমডি বিষয়টিকে অস্বীকার করে বলেন, কাজ করেছে শিক্ষার্থীরা। আমি কেন বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু শুধু টাকা দিবো। যেহেতু ছাত্রপরামর্শক এর সাথে যুক্ত তাই ওনাকেই পুরো টাকাটা দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষক হয়ে শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ করাটা অগ্রহণযোগ্য। যদি এধরনের কিছু হয়ে থাকে ওই শিক্ষককে বিচারের আওতায় আনা উচিত।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি মাত্রই শুনলাম। উক্ত শিক্ষকের সাথে আমি কথা বলবো। যদি বিষয়টি সত্যি হয় তাহলে দ্রুত এর সমাধান করে নিতে বলবো।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD