1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
সাবেক হল প্রাধ্যক্ষকে প্রক্টরের ঘুষি, বিচার মেলেনি দুই মাসেও - Dainik Cumilla
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে কনকাপৈত ইউনিয়নে ০৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল মাহে রমজান সংযম, ত্যাগ, ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয়: সফিকুর রহমান ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু

সাবেক হল প্রাধ্যক্ষকে প্রক্টরের ঘুষি, বিচার মেলেনি দুই মাসেও

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
  • ১১৮ বার পঠিত

 

মানছুর আলম অন্তর, কুবি প্রতিনিধি:

গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্যের নেতৃত্বে বহিরাগতদের নিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলার সময় প্রক্টর কর্তৃক হামলার শিকার হন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। সেসময় এই শিক্ষকের মুখে ঘুষি মারেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। পরবর্তীতে বিচার চেয়ে প্রথমে প্রশাসন বরারব লিখিত আবেদন এবং চার বার একক অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন তিনি। কিন্তু দুই মাস পার হলেও এনিয়ে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে ক্যাম্পাস খোলার পরপরই প্রক্টরের অপসারণের কথা থাকলেও সেটি বাস্তবায়নেও কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ কুবি শিক্ষক সমিতির।

রবিবার (৩০ জুন) বেলা ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে চতুর্থবারের মতো অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন ড. মোহাম্মদ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। এসময় শিক্ষক সমিতির সদস্যরাও এসে তার সাথে একাত্মতা পোষণ করেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, ভিসির সকল অপকর্মে সহযোগিতা করতে প্রক্টর বহিরাগতদের নিয়ে বলয় তৈরি করেছেন। এই জন্য ভিসি পুরষ্কার হিসেবে তাকে ৮৭ তম সিন্ডিকেটে যাচাই-বাছাই কমিটি সুপারিশ না করলেও উপাচার্যের নির্দেশে তার পিএইচডি নথিভুক্ত করা হয় এবং বিভাগে জুনিয়র হওয়ার পরও সিনিয়রকে পদোন্নতি না দিয়ে প্রক্টরকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

এসময় ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, চতুর্থ বারের মত আমাকে এখানে দাঁড়াতে হলো। যা দুঃখজনক। বারবার দাঁড়িয়েও আমার উপর হামলাকারী এই প্রক্টরের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। যার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আইন শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, তিনিই শিক্ষকের গায়ে হাত তুলছেন। তার ইন্ধনে আমাদের অন্যান্য সহকর্মীদের গায়ে হাত তুলেছে বহিরাগত ছাত্ররা। এর কোনো কোনো বিচারও এখনও হয়নি।

তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির উপর সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে এখনো কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উপাচার্য ও প্রক্টর যাদের দায়িত্ব ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিধান করা কিন্তু এই রক্ষক এখন ভক্ষক হয়েছে। আমি মনে করি প্রশাসন বিগতদিনের কর্মকাণ্ডে তার সকল যোগ্যতা হারিয়েছে। আমি প্রক্টরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, তার দ্রুত অপসারণ চাই, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই কলংকজনক অধ্যায়ের অবসান চাই।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, গত ৫ জুন যে সিন্ডিকেট সভা হয় সেখানে আমরা একাধিক সূত্র থেকে জানতে পারি প্রক্টরের অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। যদিও সেটা সিন্ডিকেটের কার্যবিবরণীতে লেখা হয়নি, তবে উপাচার্য বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাথে সাথে তাকে অপসারণ করা হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত উপাচার্য তাকে সরাচ্ছেন না এবং আমরা যখন উপাচার্যের নিকট অপসারণের দাবি নিয়ে গেলাম তখন তিনি তালবাহানা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষকদেরকে আঘাত করা হচ্ছে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, বহিরাগত অস্ত্রধারী এবং মামলার আসামীদেরকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনিরাপদ করে তুলছে। তার সকল অপরাধ স্পষ্ট হওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এই উপাচার্য। যা খুবই দুঃখজনক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সামান্য কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বঙ্গবন্ধু হল ও নজরুল হলের ৩০-৩৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। এতেও কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি প্রক্টরকে। একই বছরের পহেলা অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হলে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা ই এলাহীর নেতৃত্বে মোটরবাইক শোডাউন, ককটল বিস্ফোরণ, ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে বহিরাগতরা। এতে ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও নিরবতা পালন করতে দেখা প্রক্টরকে।

এছাড়া গত বছরের ৩ অক্টোবর ফুটবল খেলার ফাইনাল ম্যাচ শেষে উপাচার্যের সামনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন হৃদয়কে চড়থাপ্পড় দেন প্রক্টর।

চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারী শিক্ষক সমিতির জয়ী প্রার্থীরা উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গেলে সেখানে প্রক্টরের নেতৃত্বে কর্মচারী ও চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন। এর প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মাহমুদুল হাসান রাহাত ও কামরুল হাসান শিখন।

পূর্বের সিদ্ধান্তের আলোকে প্রক্টরের অপসারণ এবং প্রক্টর কর্তৃক শিক্ষকের উপর হামলার বিচারের অগ্রগতি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি প্রতিবেদকের কল কেটে দেন। এবং পরবর্তীতে কল দিয়ে আর পাওয়া যায়নি তাকে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD