1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে কোটি টাকার ওষুধ কেলেঙ্কারি - Dainik Cumilla
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লা জেলা পুলিশে মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত বরুড়ায় সরকারি খাল দখল করে পথ ও স্থাপনা নির্মাণ, উচ্ছেদের মুখে দখলদাররা কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) সংসদীয় আসনরিতে চমক দেখাবেন মনোয়ার সরকার চৌদ্দগ্রামে গরুচোর যুবলীগ নেতাকে পুনর্বাসনের অভিযোগ চিওড়া ইউনিয়ন যুবদলের বিরুদ্ধে সুমাইয়া হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ভুয়া দলিলের চেষ্টা, দলিল লেখককে শোকজ নোটিশ জীবজগতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য -দিদারুল আলম বুড়িচংয়ে ১২ কেজি গাঁজাসহ যুবদল নেতা আটক শারদীয় দূর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত চৌদ্দগ্রামের ২২টি পূজা মন্ডপ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে কোটি টাকার ওষুধ কেলেঙ্কারি

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে কোটি টাকার ওষুধ কেলেঙ্কারি

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিন হাজারো রোগী চিকিৎসার জন্য এখানে ছুটে আসেন। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানেই চলছে বছরের পর বছর ধরে দুর্নীতি, অনিয়ম আর টেন্ডার বাণিজ্য। সর্বশেষ অভিযোগ— কোটি টাকার ওষুধ কেনায় অস্বাভাবিক মূল্য দেখিয়ে আত্মসাৎ হয়েছে বিপুল সরকারি অর্থ।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, জীবনরক্ষাকারী ইনজেকশন থায়োপেনটাল সোডিয়াম— যার বাজার মূল্য মাত্র ১০১ টাকা, সরকারি নথিতে দাম দেখানো হয়েছে ১,২৯৯ টাকা। শুধু এই ওষুধ দিয়েই প্রায় ৪৮ লাখ টাকা লোপাট হয়েছে। মেডিকেল পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ সোহাগের স্বাক্ষরিত চাহিদাপত্রেই বিষয়টির সত্যতা মেলে।

একইভাবে, প্রয়োজন ছিল ১০ মি.গ্রা. এরোভাসটাটিন ট্যাবলেট, কিন্তু কেনা হয়েছে উচ্চমাত্রার ২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট। প্রায় ৯ লাখ ট্যাবলেট সংগ্রহ করা হয়েছে, যা শেষ করতে লেগে যাবে অন্তত ২০ বছর।

ওষুধ কেনায় অনিয়মের পাশাপাশি টেন্ডার প্রক্রিয়াতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র বলছে, ড্যাবের (ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) প্রভাবশালী নেতাদের ঘিরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কুমিল্লা মহানগর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফ হায়দার অভিযোগ করেন, সভাপতি এম এম হাসানের নির্দেশে তিনি ব্যবহার হয়েছেন। তার দাবি, ুআমাকে দিয়ে টেন্ডার বাণিজ্য করিয়ে ৮০ লাখ টাকা কামানো হয়েছে, অথচ দায় আমার ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে।”

অন্যদিকে এম এম হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি দুর্নীতিমুক্ত এবং কেন্দ্রীয় ড্যাবকে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

কুমিল্লা মেডিকেল ড্যাব সভাপতি ডা. মিনহাজুর রহমান তারেকও বলেন, অভিযোগ কেন্দ্রীয় ড্যাব পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং তদন্ত ছাড়া কেউ দায়ী প্রমাণিত নয়।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ সোহাগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ুএগুলো মিথ্যা ও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে প্রচার করা হচ্ছে।” ইনজেকশনের অতিরিক্ত দামের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন— এটি নাকি ুপ্রিন্টিং মিস্টেক।”

দুর্নীতি ও অনিয়ম শুধু সরকারি অর্থ অপচয় নয়, বরং রোগীর জীবনের প্রতি সরাসরি হুমকি। জীবনরক্ষাকারী ওষুধ কেনার ক্ষেত্রেই যদি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়, তবে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার ওপর আস্থা ভেঙে পড়বে।

প্রশ্ন রয়ে যায়— কেন্দ্রীয় তদন্তে কি সত্যিই অপরাধীরা ধরা পড়বে, নাকি আড়ালের আড়ালে মিলিয়ে যাবে এই কেলেঙ্কারিও?

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD