1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
বদলে যেতে পারে ৪৪ লাখ মা ও নবজাতকের ভাগ্য - Dainik Cumilla
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অজ্ঞাত কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক যুবকের মৃত্যু দেবীদ্বারে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কুমিল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ নাঙ্গলকোটে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া’র উপর হামলার প্রতিবাদে যুবদলের বিক্ষোভ লাকসামে কৃষককে কুপিয়ে জেলহাজতে প্রবাসী রফিক নাঙ্গলকোটে চরের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল হচ্ছে…বিএনপি আহ্বায়ক চৌদ্দগ্রামে মুন্সীরহাটের ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বুড়িচংয়ে ৪২ বছর ইমামতির পর ইমামকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা বুড়িচংয়ে বিষ প্রয়োগ ও এসিড ঢেলে শিশু হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

বদলে যেতে পারে ৪৪ লাখ মা ও নবজাতকের ভাগ্য

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৯১ বার পঠিত

স্তন্যদানে অক্ষম মা ও নবজাতকের সুরক্ষায় দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় কার্যকরী একটি পদ্ধতি ওকেতানি ব্রেস্ট ম্যাসাজ। চিকিৎসক ও ওষুধ ছাড়াই শুধু প্রশিক্ষণ পাওয়া নার্স-মিডওয়াইফের সহায়তায় বিশেষ এ পদ্ধতিটি মায়েদের বুকের দুধের সমস্যা দূর করে শিশুকে স্তন্যদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি দেশে প্রতিবছর প্রায় ৪৪ লাখ মা ও নবজাতকের ভাগ্যবদলে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) পরিচালক খুরশিদ জাহান যুগান্তরকে বলেন, ওকেতানি মেথডের মাধ্যমে স্তনের এবং মায়ের দুধ খাওয়াতে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সহজেই সমাধান করা যায়। মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ ও গুণগত মানও বাড়ে। ফলে শিশুর নানা শারীরিক জটিলতার পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকি কমাতে মাতৃদুগ্ধ রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করে।

গাইনি ও শিশু বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুর জন্মের পর মায়ের দুধের বিকল্প নেই। অপরিপক্ব অবস্থায় অর্থাৎ গর্ভধারণের ৩৭ সপ্তাহ শুরু হওয়ার আগেই জন্ম নিলে এটি আরও গুরত্বপূর্ণ। আইবিএফএন-এর তথ্যমতে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়ানো হলে ৩১ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো যায়। ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বকের দুধ পান করাতে পারলে পাঁচ বছর বয়সের নিচে শিশুমৃত্যুর হার ১৩ শতাংশ হ্রাস করা যায়। দুই বছর বয়স পর্যন্ত ঘরে তৈরি খাবারের পাশাপাশি বুকের দুধ পান করালে যথাযথ শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও ৬ শতাংশ শিশুর মৃত্যুঝুঁকি কমানো যায়। জন্মের পর শিশুকে মায়ের দুধ দিলে মায়ের স্তন ও জরায়ুমুখ ক্যানসার ও মাতৃমৃত্যু ঝুঁকি কমে। দেশে গড়ে ৪০ শতাংশ নারীর সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে বুকের দুধপান করাতে ওকেতানি মেথডের প্রয়োজন হয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড রিপোডাক্টিভ হেলথ শাখার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মঞ্জুর হোসেন বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে ম্যাটারনাল চাইল্ড ও এডালেসন্ট সার্ভিস দিচ্ছে। এর মধ্যে বুকের দুধপানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

১৩ দিন আগে কন্যাসন্তান জন্ম দেন সাভারের নিলুফা আকতার। সন্তান প্রসবের দ্বিতীয় সপ্তাহে বুকে দুধের পরিমাণ একেবারেই কমে যায়। এরই মধ্যে নবজাতকের মুখে ঘা হওয়ায় কোনোভাবেই স্তন্যপান করাতে পারছিলেন না। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে শিশু হাসপাতালের ব্রেস্ট ফিডিং ইউনিটে আসেন। প্রশিক্ষপ্রাপ্ত নার্সরা ওকেতানি পদ্ধতিতে শিশুকে দুধপান করাতে সক্ষম হন। ইউনিটের ইনচার্জ রুমা রানী দত্ত বলেন, সব ওয়ার্ডে ব্রেস্ট ফিডিং ও ওকেতানি সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে বহির্বিভাগ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচজন ওকেতানি ম্যাসাজ এবং ১২ জনের মতো ব্রেস্ট ফিডিং কাউন্সিলিং নিতে আসেন। ওকেতানি মেথডে সফলতার হার শতভাগ।

বিবিএফ পরিচালক খুরশিদ জাহান আরও বলেন, নবজাতকের জন্য আদর্শ পুষ্টিকর উপাদান মায়ের বুকের দুধ। এ কারণে স্বাভাবিক জন্মের পর এক ঘণ্টা এবং সিজারের চার ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে মায়ের স্তন চুষতে দিতে হবে। এভাবে তিন ঘণ্টা পর পর বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। কিন্তু অনেক সময় নানা কারণে শিশুকে দুগ্ধদানে মা অক্ষম হয়ে পড়েন। শিশুও স্তন চুষতে না পারায় দুগ্ধদানকারী ব্যথা অনুভব করেন। এক্ষেত্রে ওকেতানি মেথডে এক থেকে আট ধাপে মা ও শিশুর চাহিদা অনুযায়ী দুধপান করাতে পারেন। সেবা ব্যবস্থাটি ছড়িয়ে দিতে প্রত্যেক নার্স-মিডওয়াইফদের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি।

সূত্র জানায়, এ পদ্ধতিতে মাতুয়াইলের শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, সোহরাওয়ার্দী, মুগদা জেনারেল, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন, সাভারের সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল, দিনাজপুরের ল্যাম্ব হাসপাতাল ও নরসিংদীর পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাকটেমিল মিল্ক সেন্টার ছাড়াও বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে।

ওকেতানি মেথডের প্রচলন : বিশেষজ্ঞরা জানান, জাপানি মিডওয়াইফ সতোমি ওকেতানি ‘ওকেতানি ব্রেস্ট ম্যাসাজ বা ম্যানুয়াল টেকনিক’ আবিষ্কার করেন। ১৯৯৯ সালে জাপানের আকেদা মেডিকেল রির্সাস ফাউন্ডেশনের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আকাইদা ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে প্রথম কার্যক্রমটি শুরু হয়। ২০১৪ সালে জাইকার সহায়তায় সরকারের অনুমোদনে ‘ওকেতানি মেথড ট্রেনিং বা বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ পদ্ধতি’ নামে একটি প্রকল্প চালু রয়েছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD