নেকবর হোসেন
কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) লাকসাম উপজেলার আজগরা এবং মনোহরগঞ্জের বাইশগাঁওয়ে ও নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নে পৃথক এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আজগরা স্কুল ও কলেজ মাঠে ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে ওয়ার্ড সম্মেলনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম ও সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আনোরুল আজিমের অনুসারীদের মধ্যে ভোটাভুটি নিয়ে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের ৬/৭ নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের মাঝেই ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা হলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে আজগরাজুড়ে।
এ ছাড়া শনিবার সকালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনেও দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে চারজন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে বাইশগাঁও গ্রাম ও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান।
অন্যদিকে একই উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের কান্দি স্কুল মাঠে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলেও আবুল কালাম ও আনোরুল আজিমের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার সকালে মনোহরগঞ্জের বাইশগাঁও ইউনিয়নের বাইশগাঁও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ এবং হোসাইন মোহাম্মদ হেলাল। ভোটাভুটি ও সমর্থন নিয়ে সুলতান ও হেলালের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দফায় দফায় সংঘর্ষে সুলতানের এক কর্মী এবং হেলালের তিন কর্মী গুরুতর আহত হন।
নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন বলেন, শনিবার সকালে নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের কান্দি স্কুল মাঠে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে জেলার নেতারা কমিটি ঘোষণা না করে কাউন্সিল অসমাপ্ত রেখেই স্থান ত্যাগ করেন।