মো: ওমর ফারুক মুন্সী :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদীর চর থেকে মাটি লুট করে ফসলী জমি ও বেরীবাঁধের ক্ষতি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। রোববার সকাল ১০ টায় উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের খলিলপুরে গোমতী নদীর বেরীবাঁধের উপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সমাজকর্মী শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেন, ফজলুল করিম, সুলতান আহাম্মেদ সরকার, রুহুল আমিন, মুর্শেদা বেগম, জয়নাল আবেদীন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম সাকিল, আবু মুসা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, খলিলপুরের মাটি ব্যবসায়ী হেলাল গোমতী নদীর বাঁধ ঘেঁষে চরের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে ফসলী জমির ক্ষতি হচ্ছে এবং যেকোনো সময় বাঁধটি ধ্বসে যেতে পারে। তার দুই বোন প্রভাবশালী হওয়ায় মাটি লুট করেও বারবার পার পেয়ে যায়। আমরা এবছর গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধির ভয়াবহতা দেখেছি। বাঁধ ভেঙ্গে যাবার আতঙ্কে নদীর দুইপাশের লাখো মানুষ নির্ঘুম কাটিয়েছি। তারপরও পার্শ¦বর্তী উপজেলায় বাঁধ ভেঙ্গে আমাদের বন্যায় ভাসতে হয়েছে। নদীর চর থেকে যদি এ ভাবে মাটি কাটে, তাহলে এ বিপদ কখনোই কাটবে না। এছাড়া হেলাল মাদক কারবার করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংস করছে। যুব সমাজকে মাদক থেকে বাঁচাতে এবং গোমতী নদীর চর ও বাঁধ রক্ষায় হেলালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
ভূক্তভোগী মুর্শেদা বেগম বলেন, গোমতীর চরের আমার জমি থেকে বছরের পর বছর ধরে মাটি কেটে নিয়ে যায় হেলাল। আমি মাটি লুটের প্রতিবাদ করায় হেলাল ও তার বউ আমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। অমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত হেলাল বলেন, এবছর মাটি কাটার সুযোগ নাই। জায়গা ঠিক করার জন্য কয়েক গাড়ি মাটি কেটেছিলাম। এ বিষয়ে নিউজ করে কি হবে।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রায়হানুল ইসলাম জানান, গোমতীর চর থেকে মাটি কাটার সংবাদ পেলেই আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা করছি। অভিযানের কারনে মাটি কাটা অনেক কমেছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।