খলিলুর রহমান।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সৌন্দর্যের একটি বিরাট জায়গা জুড়ে আছে ফুলের বাগান। শীতের শুরু থেকেই পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ফুলের সমারোহ। শতবর্ষ তোরণের পাশে,অর্থনীতি ভবনের সামনে এবং বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনের নানারকম ফুলের শোভা মুগ্ধ করছে সবাইকে। ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’-ম্যুরালের সামনের পুরোটা ঘিরেই আছে সুরক্ষিত নান্দনিক ফুলের বাগান। বিভিন্ন রকম ফুলের সমারোহ ম্যুরালের সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।ম্যুরালের পাদদেশে বসে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে গুনগুন করে গান গায় শিক্ষার্থীরা।
গোলাপ,জবা, গাঁদা,সূর্যমুখী,চন্দ্রমল্লিকা,ডালিয়া, নয়নতারা,বকুল,কনকচাঁপা- কি নেই বাগানে। ফুলগাছের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধক গাছও আছে অনেক। মালিরা নিয়মিত পরিচর্যা করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখছে বাগান। শিক্ষার্থীদের আলাপ-আলোচনা কিংবা আড্ডার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা এটি। চারদিকে উঁচু গাছপালা না থাকায় শীতকালে এখানে রোদ পড়ে ভালো। শীতকালে তাই এখানে শিক্ষার্থীরা বেশি আসে। যেকোন শিক্ষার্থী কিংবা অন্য যে কেউ ফুলগাছে বেষ্টিত ম্যুরালের কাছে এসে বুক ভরে শ্বাস নেয়। নানান ফুলের ঘ্রাণে পুলক অনুভব করে। যেকোন নতুন শিক্ষার্থী প্রথমবার কলেজে এসেই ম্যুরালের খোঁজ করে।
ভিক্টোরিয়ার বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন বলেন- ‘আমি ২ বছর ধরে কবি নজরুল হলে থেকে কলেজে পড়াশোনা করছি। শীতের সকালে যখনই অবসর পাই,ছুটে চলে আসি ম্যুরালের সামনে। সকালের নরম রোদে বসে বই পড়ি আর ফুলের সৌন্দর্য দেখি। খুব ভালো লাগে।’
কলেজের অনেক শিক্ষার্থী বন্ধুদেরকে নিয়ে আসেন কলেজের সৌন্দর্য দেখানোর জন্য। বিএসএস এর ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের। সে তার স্নাতক ভর্তিচ্ছু বন্ধু জহিরুলকে নিয়ে এসেছে কলেজ ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য। জহিরুল বলেন- ‘ভিক্টোরিয়া কলেজে আজকে প্রথম এসেছি। ক্যাম্পাসের সবুজায়ন দেখে খুব ভালো লেগেছে। ম্যুরালের পাশে ফুলবাগানও খুব ভালো লেগেছে। এমন সুন্দর সাজানো-গোছানো কলেজের ছাত্র হতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার।’
সবাই ম্যুরালের সামনে এবং ফুলের বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে ছবি তুলে রেখে দেয় স্মৃতি হিসেবে। পুরো শীতকাল জুড়েই পুরো ক্যাম্পাসে হাসি ফুটিয়ে রাখে ফুলগাছগুলো। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.আবু জাফর খান বলেন- ‘ক্যাম্পাস- জুড়ে সবুজায়নের এবং ফুল বাগানের বিস্তৃত পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের । ভবিষ্যতে ভিক্টোরিয়া ক্যাম্পাসের চারপাশের ফুলের বাগান আরো বিস্তৃত হবে এবং হাজার রকম মধুময়ঘ্রাণসমৃদ্ধ ফুলগাছের সমারোহ ঘটবে।’