1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
শিশুর জীবন বাঁচাতে দা দিয়ে ছেলের হাতের কব্জি আলাদা করে ফেলেছেন মা - Dainik Cumilla
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি স্পিস কম্পিটিশন আয়োজিত এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সিটিজি সমাজের প্রাণবন্ত ইফতার মাহফিল সম্পন্ন সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী বাজার মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ভিক্টোরিয়া কলেজের সমৃদ্ধিতে সাংবাদিক সমিতির ভূমিকাও আছে নাঙ্গলকোটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও মদক বিক্রির টাকা-সহ কারবারি আটক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে থাকা শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ ‘আগে সংস্কার শেষ করে তারপর নির্বাচন হবে: নাহিদ ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সব দর্জি দোকানে চলছে সেলাই। অনেক দোকানি বাড়িয়েছেন কারিগর। মোঃ রেজাউল হক শাকিল, ব্রাহ্মণপাড়াঃ গাজায় ইসরাইলী বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

শিশুর জীবন বাঁচাতে দা দিয়ে ছেলের হাতের কব্জি আলাদা করে ফেলেছেন মা

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১১৩ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার।।

শিশুর জীবন বাঁচাতে দা দিয়ে ছেলের হাতের কব্জি আলাদা করে ফেলেছেন মা।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুবারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় কমিল্লা শহরের তেলিকোনা এলাকার মানিক মিয়া টাওয়ারে এই ঘটনা ঘটে।
শিশুর নাম নাম আব্দুল্লাহ (৭)। সে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ড সংরাইশের শামীম মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা বলছেন, কুমিল্লায় অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের খেসারত দিতে হলো এই শিশুকে।

আব্দুল্লাহ মানিক মিয়া টাওয়ারের সঙ্গে লাগুয়া বিদুতের খুঁটির ফোরফোরটি মেইন লাইনটি ধরে ফেল্লে মা মমতাজ বেগম তাৎক্ষণিক অবস্থায় বুদ্ধি খাটিয়ে দা দিয়ে ছেলের হাতে কুপ মারে। কুপ মারার কারণে ছেলেটির হাতের কব্জি বিছিন্ন হয়ে বিদুতের লাইনে আটকে থেকে গেলেও প্রাণে বেঁচে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সে একটি মাদরাসার ছাত্র।

শিশুটির বাবা শামীম মিয়া জানান, ১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর তেলিকোনা মানিক মিয়া টাওয়ারের চারতলায় আমরা বসবাস করি। হঠাৎ কিভাবে আমার ছেলে মানিক মিয়া টাওয়ারের ভবন ঘেঁষে বৈদুতের মেইন লাইনের তারে জড়িয়ে গুরুতর আহত হয় । প্রাথমিকভাবে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করি।

ওই এলাকার প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম বাপ্পী জানান, মানিক মিয়া ভবনের মালিক এলাকার প্রভাবশালী। কোনো অনুমোদন ছাড়াই তারা বৈদ্যুতিক খুঁটির মেইন লাইন ঘেঁষে ভবন নির্মাণ করছেন ও সর্তরকতা অবলম্বন না করে তিনি ফ্লাট ভাড়া দিয়ে চলছেন। এছাড়া ও মানিক মিয়া ভবনে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। যেখানে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা খুবই আতংকের সাথে মাদরাসায় পড়াশোনা করছে।এতে করে বাচ্চারা চরম ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষের চরম উদাসীনতার কারণে বারান্দার রেলিং এর দরজা খোলা পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনের চতুর্থ তলায় ওঠে খেলার সময় বিদ্যুৎ লাইনের মেইন তারে জড়িয়ে সে গুরুতর আহত হয়।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো অনুমতি ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন মানিক মিয়া টাওয়ারের মালিক অলিউল্লাহ। ভবন ঘেঁষে বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। তিনি একটু দূরত্বে ভবন নির্মাণ করলে এ ঘটনা ঘটত না। তা ছাড়া তিনি বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি।’

তিনি আরো জানান যে,বিদ্যুৎ এর লাইন আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগেই বিদ্যুৎ এর খুটি এখানে ছিলো।কিন্ত মানিক মিয়া টাওয়ারের মালিকগণ ভবনের নিচ দিয়ে দুইতলা ভবন পর্যন্ত সরকারি জায়গা খালি রেখে তিনতলা থেকে ছয়তলা ভবন পর্যন্ত অংশ বর্ধিত করার ফলে বিদুৎ লাইনের তারের সাথে ভবনটি ঘেঁষে যায়। এরজন্যই আজ এমন দূর্ঘটনা সম্মুখীন হতে হয়েছে।

ভবনমালিক ওলিউল্লাহ বলেন,আজ (বৃহস্পতিবার) সহ একাধিক দূর্ঘটনা হলে ‘আমি বিদুৎ কতৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ করেছি। এতে কোন ব্যবস্থা নেই নি।

বিদ্যুতের লাইন ইনচার্জ সাহেদ বলেন, ৪০ বছর ধরে এখানে বিদুৎ এর খুটিটি রয়েছে। বিদ্যুৎ খুটি আগে নাকি ভবন আগে আপনারা বলেন। এখানে যে মানিক মিয়া ভবনটি রয়েছে দুইতলা পর্যন্ত ভবনের নকশা ঠিক আছে কিন্তু তিনতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত নকশা বহির্ভূত হওয়ার কারণে বিদুৎ এর খুটির লাইনের সাথে ঘেঁষে যাওয়াই এই দূর্ঘটনা ঘটে।

চকবাজার ফাঁড়ির এস আই সাইফুল ইসলাম বলেন, মানিক মিয়া টাওয়ারের মালিক পক্ষের গাফিলতির কারনে এই দূর্ঘটনা ঘটে,আমরা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফোরফোরটি লাইনে লেগে থাকা হাতের কব্জি উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছি।

সন্ধা সোয়া ছয়টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছেলের বাবা শামীম মিয়া জানান,আমার ছেলের অর্ধেক শরীর পুড়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আশংকামুক্ত নয় ডাক্তার জানিয়েছেন কিছুক্ষণের মধ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যেতে হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD