নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা-৬ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। আদর্শ সদর,সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনে তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন কুমিল্লার বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আফজল খানের মেয়ে ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্যও।
দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,বাহার ও প্রয়াত আফজল খানের পরিবারের মধ্যে প্রায় চার দশক ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।কিন্তু বাস্তবে খান গ্রুপের কোন অস্তিত্ব নাই।
১৯৮৪ সালে কুমিল্লা পৌরসভা নির্বাচনে মুখোমুখি হয়ে আফজল খানকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বাহার। সে সময় আফজল খান কুমিল্লা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আর বাহার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুখোমুখি হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আফজল খানের বড় ছেলে মাসুদ পারভেজ ইমরানকে হারিয়ে এমপি হয়েছিলেন বাহার।
বাবা-ভাইয়ের পর এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাহারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর মূলধারার নিয়ন্ত্রণ বাহারের হাতে।
দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিতে থাকা বেশির ভাগ নেতারাই বাহারের অনুসারী। তবে বাহারবিরোধীরা কিছু আছেন আফজল খানের পরিবারের বলয়ে। তাঁরা এখন সীমার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এ কারণে আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে চিরচেনা দুই গ্রুপের মধ্যে তেমন ভোটের লড়াইয়ের দেখতে পাচ্ছেন না ভোটাররা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন,আমাদের প্রিয় নেত্রী বলেছেন, এ নির্বাচনে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে বাধা নেই। তাই এই নির্বাচন দলীয়ভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত। কুমিল্লার মানুষ তাদের দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান চায়। তাই মানুষের আগ্রহে আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করি নির্বাচনে জয়ী হব। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমার জন্য মাঠে কাজ করছেন।’
বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সাংবাদিকদের বলেন,রাজনীতির শুরু থেকেই আমি কুমিল্লার মানুষের জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা ১৯৮৪ সালে পারেনি, ২০১৪ সালেও পারেনি। ইনশাআল্লাহ এবারও পারবে না। আশা করছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এবারও এই আসন বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে উপহার দেব। কারণ কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ এবং প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌকার জন্য ঐক্যবদ্ধ।
কুমিল্লা(৬) আসনের সাধারণ ভোটারা বলেন, বাহারের সঙ্গে কুমিল্লার মানুষের নিবিড় সম্পর্ক। ভোটের রাজনীতিতে ও সাংগঠনিকভাবে তিনি দক্ষ। আফজল খান পরিবারের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে তিনি সব সময় জিতেছেন ।
বাহার ও সীমার বাইরে এ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন আরো তিনজন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম, জাকের পার্টির মো. আবুল হোসেন মজুমদার ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আবদুল মজিদ।
জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম বলেন, কুমিল্লা সদর আসনের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দেখা যাচ্ছে। তিনি ভোটারদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন।
কুমিল্লা-৬ আসনের বাহার ও সীমার মধ্যে ভোটের লড়াইয়ের দেখতে পাচ্ছেন না ভোটাররা
নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা-৬ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। আদর্শ সদর,সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনে তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন কুমিল্লার বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আফজল খানের মেয়ে ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্যও।
দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,বাহার ও প্রয়াত আফজল খানের পরিবারের মধ্যে প্রায় চার দশক ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।কিন্তু বাস্তবে খান গ্রুপের কোন অস্তিত্ব নাই।
১৯৮৪ সালে কুমিল্লা পৌরসভা নির্বাচনে মুখোমুখি হয়ে আফজল খানকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বাহার। সে সময় আফজল খান কুমিল্লা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আর বাহার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুখোমুখি হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আফজল খানের বড় ছেলে মাসুদ পারভেজ ইমরানকে হারিয়ে এমপি হয়েছিলেন বাহার।
বাবা-ভাইয়ের পর এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাহারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর মূলধারার নিয়ন্ত্রণ বাহারের হাতে।
দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিতে থাকা বেশির ভাগ নেতারাই বাহারের অনুসারী। তবে বাহারবিরোধীরা কিছু আছেন আফজল খানের পরিবারের বলয়ে। তাঁরা এখন সীমার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এ কারণে আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে চিরচেনা দুই গ্রুপের মধ্যে তেমন ভোটের লড়াইয়ের দেখতে পাচ্ছেন না ভোটাররা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন,আমাদের প্রিয় নেত্রী বলেছেন, এ নির্বাচনে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে বাধা নেই। তাই এই নির্বাচন দলীয়ভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত। কুমিল্লার মানুষ তাদের দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান চায়। তাই মানুষের আগ্রহে আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করি নির্বাচনে জয়ী হব। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমার জন্য মাঠে কাজ করছেন।’
বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সাংবাদিকদের বলেন,রাজনীতির শুরু থেকেই আমি কুমিল্লার মানুষের জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা ১৯৮৪ সালে পারেনি, ২০১৪ সালেও পারেনি। ইনশাআল্লাহ এবারও পারবে না। আশা করছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এবারও এই আসন বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে উপহার দেব। কারণ কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ এবং প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌকার জন্য ঐক্যবদ্ধ।
কুমিল্লা(৬) আসনের সাধারণ ভোটারা বলেন, বাহারের সঙ্গে কুমিল্লার মানুষের নিবিড় সম্পর্ক। ভোটের রাজনীতিতে ও সাংগঠনিকভাবে তিনি দক্ষ। আফজল খান পরিবারের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে তিনি সব সময় জিতেছেন ।
বাহার ও সীমার বাইরে এ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন আরো তিনজন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম, জাকের পার্টির মো. আবুল হোসেন মজুমদার ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আবদুল মজিদ।
জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম বলেন, কুমিল্লা সদর আসনের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দেখা যাচ্ছে। তিনি ভোটারদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন।