মোঃ রেজাউল হক শাকিল, ব্রাহ্মণপাড়াঃ
সৌদিআরবের ফল সাম্মাম এখন কুমিল্লায় ফলের বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
খাবারের তালিকায় ফলের মধ্যে অনেকেই সাম্মাম রাখছেন। তাই বাজারেও বেশ ভালোই সাম্মাম বেচাকেনা হচ্ছে। এই ফল খেতে অনেকটা বাঙ্গির মতো স্বাদ। বাইরের দিকটা দেখতে দুসর বাদামী মতো। এটি মূলত সৌদি আরবের ফল হিসেবেও পরিচিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা কান্দিরপাড় শহরে সরেজমিনে দেখা গেছে, এক কেজি সাম্মাম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। এক কেজিতে সাম্মাম ওঠে দুই থেকে তিনটি। বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও সাম্মাম কেনায় বেশ আগ্রহ। অনেকে দামদর করছেন। কেউবা হাতে নিয়ে দেখছে এবং কিনছেন।
কান্দিরপাড় ফলের বাজারের চার-পাঁচটি দোকানে সাম্মাম পাওয়া যাচ্ছে। বেচাকেনাও বেশ ভালো। কুমিল্লা অন্য বড় বাজার ও সুপারশপগুলোতে এই ফল দেখা যায়।
কান্দিরপাড় ফল বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন ও সোহেল রানা বলেন তিন বছর ধরে অন্যান্য ফলের সঙ্গে সাম্মাম বিক্রি করছেন। সব ফলের পাশাপাশি সাম্মামের মতো সুস্বাদু ফল রাখেন। এবার বেচাকেনাও বেশ ভালো। প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি সাম্মাম বিক্রি করেন তিনি। অন্যান ফলের দাম বেশি হওয়ার সাম্মামের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফলের দোকানে রাকিব হোসেন নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় তিনি জানান, ‘অন্যান ফলের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রমী ফল রাখলে ভালো লাগে। বাসার সবাই পছন্দ করেন। তাই আজ এক কেজি সাম্মাম কিনলাম। আমি কয়েকদিন পর পরই সাম্মাম কিনি।
সৌদিআরব অঞ্চলের ফল হলেও ৮/১০ বছর ধরে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সীমিত পরিসরে সাম্মামের ফলন হচ্ছে। মূলত রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বগুড়া অঞ্চলে সাম্মামের ফলন হয়। ৮-১০ বছর ধরে এই অঞ্চলের অনেকে এই ফল উৎপাদন করছেন।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: মিজানুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে কুমিল্লায় সাম্মাম চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করছি আশা করি আগামী বছরের মধ্যে কয়েকটি উপজেলায় সম্মামের চাষ করা হবে। এ বছর আমরা দাউদকান্দি উপজেলায় ঘেরের মাঝে চাষ করার জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,ইতিমধ্যে সাম্মাম মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক জাতের সাম্মামের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরে লাল। আরেক জাতের সাম্মামের বাইরের অংশ হলুদ আর ভেতরে লাল। তবে দুটি ফলই খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত। বীজ বপনের দুই-আড়াই মাসের মধ্যে সাম্মামগাছে ফল আসে। তিন মাসের মধ্যে এ ফল পরিপক্ব হয়।