নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা নগরীর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক, পেশাজীবী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্রকে আবারও হত্যাচেষ্টা ও গুমের হুমকির দিয়েছেন সন্ত্রাসীরা । সম্প্রতি একাধিক ছদ্মবেশী সন্ত্রাসী চক্র প্রত্যক্ষ ও মোবাই ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে তাকে হত্যা করে গুম করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
মওদুদ শুভ্র সাংবাদিকদেদর জানান, বহু বছর ধরে এই চক্রটি তাকে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র, হামলা ও হয়রানির শিকার করছে। এ পর্যন্ত তিনি একাধিকবার কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ২০১৭ সালের ৩ মে জিডি করা হয় যার নম্বর-১৫৭ এছাড়াও ২০১৯, ২০২০ ও ২০২৩ সালে মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসক,কুমিল্লা পুলিশ সুপার ও র্যাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাননি ।
তারপরও তিনি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার, কুমিল্লা সেনাবাহিনীর সেনা সদর ক্যাম্প অধিনায়ক, কুমিল্লার র্যাব ১১ সি পি সি ২ কোম্পানি কমান্ডার, কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও ডি বি পুলিশ কুমিল্লা অফিসার ইনচার্জ, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিত ভাবে সংজুক্তি দায়ের করা মামলার নথিপত্র সাথে প্রমানাদি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল ইতিমধ্যে করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পেশাগত কাজে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় আদালত ও থানায় মামলা হয় এবং সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। তবুও অপরাধীরা থেমে যায়নি; বরং পুনরায় ছদ্মবেশে মোটরসাইকেল ও কালো গ্লাসওয়ালা গাড়ি নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।এদের ভেতরে আবার কিছু লোকজন যাদের কে আগে দেখা যায়নি তারা মোবাইল ফোনে কল ও এস এম এস দিয়ে এবং সরাসরি বলেন তারা অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ শাখার লোকজন , তারা এই ঘটনাটির ব্যাপারে সত্যতার আলোকে সরকার ভিক্টিম মওদুদ আব্দুল্লাহ পক্ষে তদন্ত পক্রিয়ায় সকল অপরাধ এবং অপরাধীদের পরোক্ষ চক্রদের খুজে পায় তাই তাদের কে এই তদন্ত প্রতিবেদন বিভিন্ন দপ্তর পাঠাবে তাই তারা ৩ লাখ টাকা চাওয়ায় তাদেরকে ভিক্টিম মওদুদ আব্দুল্লাহ বলেন, আমি যতদূর জানি মামলার তদন্তের প্রতিবেদন চুড়ান্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট দিবেন থানা সংলিস্ট পুলিশ এখানে আপনারা কারা প্রশ্ন করায় তারা উওর দেয় রাগান্বিত ভাবে- তারা এই প্রজেক্ট আছে কথা সাবধানে বলতে হবে নয়তো তারা অন্যভাবে প্রজেক্ট তদন্ত করে অন্য রিপোর্ট দিবেন।এই বিষয়ে মওদুদ আব্দুল্লাহ বলেন, তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ছদ্মবেশে ধারন করে আমার সাম্ভাব্য তারা কোন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে টাকা চাইছে।এই বিষয়ক সরাসরি কথা বলেন এবং ফোনেও কথা বলেন ও এসএমএস পাঠান।তখন তাদের কথা বলার ধরন ও আচরণ আমার কাছে রহস্যময় লাগে তখন আমি সাথে উক্ত বিষয় পুলিশ প্রশাসন কে জানাই পুলিশ প্রশাসন পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের সনাক্ত করে প্রমান পত্রাদি দিয়ে যোগাযোগ করতে। অত:পর পুনরায় তাদের যখন একাধিক বার কল আসে তখন কল ভয়েস রেকর্ড করা হয় ও সংরক্ষণ করা হয়।অত:পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর সেনা সদর ক্যাম্প কুমিল্লা, কুমিল্লা র্যাব ১১ সি পি সি ২ কোম্পানি কমান্ডার সকলকে উক্ত প্রমান পত্রাদি সহ ভয়েস রেকর্ড এবং হুমকিদাতাদের নাম্বার থেকে আগত এস এম এস সব অভিযোগ করে দাখিল করে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আশায়।উক্ত বিষয়ে সংলিস্ট উপরে উল্লেখিত সকল প্রশাসনের নজরদারিতে আসলে উনারা আইনি পরামর্শ প্রদান করেন যে, উক্ত বিষয়ে হুনকি দাতা তাদের নাম্বার ও তাদের পরিচয় বিস্তারিত দিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জি ডি) করতে বলেন। আমি তখন উনাদের আইনি পরামর্শ ক্রমে উক্ত বিষয়ক হুমকি দাতা ও সহ উক্ত অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি বিশেষ সহ তাহাদের মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে সাথে ভয়েস রেকর্ড ও এস এম এস সব কিছু প্রদর্শন করিয়ে আমি সহ আমার আইনি সুরক্ষা ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি ( জি ডি) দায়ের করে। জাহা ভবিষ্যতে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য রেকর্ড ভুক্ত হয়।
মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র বলেন, “বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শুধু চাঁদা দাবি নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ভাবে সুনাম সুখ্যাতি বিনস্ট করার জন্য অপরাধী চক্র সাথে সাম্ভাব্য ভাড়া করা অথবা টাকা দিয়ে কেনা এজেন্ট রেখে বে আইনি চক্র সহ ” স্যার গ্রুপ গঠন ” করে চক্রটি সহ তাদের দোসররা রাজনৈতিক তথ্য ষড়যন্ত্র ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে আমার সাথে বে আইনি ভাবে অন্যায় করে আসছে।
মাসিক মানবাধিকার খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক বলেন- মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র আমাদের প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকার কুমিল্লার জেলার ব্যুরো চীফ হিসাবে বিগত ০৭ বছর ধরে কাজ সাংবাদিকতার কাজ করে আসছে।তাছাড়াও তিনি দৈনিক বাংলা নিউজ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক তিনি কুমিল্লার একজন দায়িত্ববান মানুষ। তার সাথে অপরাধী চক্র এবং তার দায়ের করা মামলার ব্যাপারে যদি অপরাধী চক্র নিয়মিত ধারাবাহিক ভাবে একেক দিন একেক অপরাধ আশ্রয় নেয়।তাহলে তার মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার নস্ট করছে। একজন পেশাজীবি ও সুশীল সমাজের নাগরিক সাথে এই ধরনের অপরাধ কাম্য নয়।বিগত আমাদের জাতীয় ও স্থানীয় সাংবাদিক সমাজের সহকর্মীগন তার সাথে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধে ঘটছে এই ব্যাপারে একাধিক বার নিউজ হওয়ার পরে যদি পুলিশ প্রশাসন সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি পদক্ষেপ না নেন তাহলে তার সাথে বা তাকে টার্গেট করে তার পরিবারের সাথে কেহ যদি কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ সংঘটিত করে বিভিন্ন অপরাধ করে যায়? তাহলে আদালতে ও থানায় মামলা রেকর্ড হওয়া, তার ও তার পরিবার পরিজন সার্বিক আইনগত সুরক্ষা এবং প্রশাসনিক আত্মরক্ষা চেয়ে যে কুমিল্লা অন লাইনে সদ্য অনলাইনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জি ডি, কুমিল্লা পুলিশ সুপার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কাছে সমস্যা প্রতিকার চেয়ে সমাধান এই সব আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করে প্রতিকার ও স্বাধীন নিরাপত্তা না পায় এর দায়ভার অনাকাঙ্ক্ষিত কোন দুর্ঘটনার দায়ভার কে বহন করবে? সাংবাদিক সমাজ আজ নির্যাতিত হচ্ছে মানবাধিকার আজ হনন হচ্ছে এই ভাবে যদি মানবাধিকার উর্মি এবং দায়িত্ববান সাংবাদিকদের উপরে যদি অত্যাচার করে অবিচার করা হয় তাহলে এই পেশা একদিন তার স্বাধীনতা হারিয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। একটি দেশ একটি রাষ্ট্র আরবিক সকল তথ্য উন্নয়ন এবং অবস্থান একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিকই তাদের প্রকাশিত পত্রিকায় সহ অনলাইন মিডিয়াতে তুলে ধরে তাই তাদের প্রতি পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রশাসনের সহজোগিতা অবশ্যই করতে হবে।এটা উনাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ভীতরে আসে।কারন পুলিশ প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন প্রেম করার রক্ষাকারী বাহিনী যেমন দেশ সেবায় নিয়োজিত থাকে তেমনি ভাবে একজন সাংবাদিক সেই মুহূর্তের ঘটনাগুলোকে তথ্যসমৃদ্ধ করে জাতির কাছে তুলে ধরা। তাই এই মহান পেশাকে খাটো করে দেখার কারোর কোন সুযোগ নেই।তাই আমরা সাংবাদিক পুলিশ প্রশাসন যদি তার সাথে ঘটে যাওয়া অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধীদেরকে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় না আনে সামনে আমরা কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করব তার পাশাপাশি আমরা সাংবাদিক মহল প্রয়োজনে সরাস্ট্র উপদেস্টা বরাবরে স্মারক লিপি প্রদানের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুবিচার এর মাধ্যমে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাবো।
এই বিষয়ক কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ জনাব মহিনুল ইসলাম জানান, পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ দায়ের করা মামলা এবং জি ডি বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। তার দায়ের করা মামলার সকল আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের অভিজান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।