নেকবর হোসেন
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানা আয়োজনে উদ্যাপন করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মনিরুল হক (সাক্কু)। আলোচনা সভার পর নগরে নিজের অনুসারীদের নিয়ে বিশাল শোভাযাত্রাও করেছেন তিনি। পুরো আয়োজনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা সদর আসন (কুমিল্লা আদর্শ সদর-সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৬ আসন) থেকে অংশ নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন সাবেক এই মেয়র।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিতে নিজের বাসভবন সংলগ্ন নগরের নানুয়ার দিঘীরপাড় এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে মনিরুল হকের উদ্যোগে প্রথমে আলোচনা সভা হয়। পরে সেখান থেকে বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। আলোচনা সভায় মনিরুল হক বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সব সময় দেশের ক্রান্তিলগ্নে এসে হাল ধরতেন। তিনি দেশের উন্নয়ন করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিতেন। এর মধ্যে খাল খনন প্রকল্প অন্যতম। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ভাসতে হয়। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও বিএনপি হাল ছাড়েনি। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তখন হাল ধরেছেন দলের এবং এখন পর্যন্ত ধরে রেখেছেন।
উপস্থিত নেতাুকর্মীদের উদ্দেশে মনিরুল হক বলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ আপনাদের কাছে। আমি বার্তা দিয়ে গেলাম। আমি বাঁচি আর মরি, আপনেরা আমার লগে থাকবেন। ডিসেম্বরের ১২ তারিখ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইবো। এই সাড়ে তিন মাস আপনাদের নিয়ে আমি প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে যামু। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত আমি কুমিল্লা সদরের প্রতিটি ইউনিয়ন, পাড়া-মহল্লায় তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিমু। এখন আমার কাজ এটাই। আমি জনগণকে অনুরোধ করব সবাই যেন ভোটকেন্দ্রে আসেন। জনগণ যাঁকে ইচ্ছা তাঁকে ভোট দিবো। আমার কাজ জনগণকে নির্বাচনমুখী করা।’
বিএনপির ত্যাগের কথা উল্লেখ করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক জানান, দীর্ঘ সাড়ে চার দশকের বেশি সময়ের রাজনৈতিক পথচলায় বিএনপি কখনো ক্ষমতায় থেকেছে, কখনো আন্দোলনে। বিগত দেড় যুগ রাজপথেই কেটেছে বিএনপি নেতাুকর্মীদের। তাঁরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনে অবিচল ছিলেন। অবশেষে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ নতুন এক রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের জন্য এবার সর্বোচ্চটা বিলিয়ে দেব। ৫ আগস্ট আল্লাহর একটা নিয়ামত আমাদের জন্য। ৫ আগস্ট না হলে আজকে এখানে আমরা কেউ দাঁড়াতে পারতাম না।’
আলোচনা শেষে মনিরুল হকের নেতৃত্বে নানুয়ার দীঘিরপাড় থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি নগরের ছাতিপট্টি, রাজগঞ্জ, মনোহরপুর, কান্দিরপাড় যায়। সেখান থেকে জিলা স্কুল সড়ক, সার্কিট হাউস মোড়, মোগলটুলী, রাজগঞ্জ ও ছাতিপট্টি হয়ে আবার নানুয়ার দীঘির পাড়ে এসে শেষ হয়। পুরো কর্মসূচিতে নগরের ২৭টি ওয়ার্ড ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাুকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।