লাকসাম প্রতিনিধি:
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি ও কুমিল্লা-৯ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডঃ সৈয়দ একেএম সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী বলেছেন, আজ আমাদের জন্য ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল দিন। এই দিনেই স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট শাসক এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা নব্য স্বৈরাচারের পদধ্বনী শুনতে পাচ্ছি। কারন, ”সরকারের একজন উপদেষ্টা স্ট্যাটাস দিয়েছেন- তিনি নতুন করে আবারও ১/১১’র গন্ধ পাচ্ছেন।”
সরওয়ার ছিদ্দিকী উল্লেখ করেন, আমরা বলতে চাই- সরকারের সকল গোয়েন্দা এজেন্সি আপনাদের হাতে। জনগণ আপনাদের সাথে। ফ্যাসিস্টরা ষড়যন্ত্র করবে, আর আপনারা কার আশায় বসে আছেন। আপনাদের সরকারে থাকা ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মাদের সরিয়ে দিন। না হয় ক্ষমতা ছেড়ে দিন। ছাত্র জনতার রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। আর কোন ফ্যাসিস্ট বাংলার জনগণ মেনে নেবে না। কোন ফেসিস্ট এই দেশ শাসন করার আর সুযোগ পাবে না। আজকের এই গণমিছিলে এটাই আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় শপথ।
সরওয়ার ছিদ্দিকী আরও বলেন, আমাদের লাকসাম মনোহরগঞ্জের আসনের বিভাজনের জন্য লাকসাম মনোহরগঞ্জের কেউ কোনদিন দাবি তোলেনি। আমরা জানতে চাই- কার স্বার্থের জন্য মনোহরগঞ্জ থেকে লাকসামকে বিচ্ছিন্ন করেছেন। এই মনোহরগঞ্জ; লাকসামের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে। আমরা এই বিভাজন মানি না।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণমিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করায় হাজার হাজার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা ও উপজেলা জামায়াত আয়োজিত গণমিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম বাইপাস হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদের সামনে থেকে গণমিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নোয়াখালী রেলগেইট এলাকায় সমাবেশে মিলিত হয়। লাকসাম পৌরসভা জামায়াতের আমির মু. জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ সহিদ উল্যাহর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১এর পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মু. বদিউল আলম সুজন, লাকসাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জোবায়ের ফয়সাল। এসময় লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াত এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।