নেকবর হোসেন
কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর তিন খুনের (ট্রিপল মার্ডার) মামলায় ছয়জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার বিকেলে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।
র্যাব জানায়, ঘটনাটি শুরু হয় একটি মোবাইল চুরি ও থানায় করা একটি মামলার জের ধরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আক্রোশের বশে পরিকল্পিতভাবে একটি মব তৈরি করে তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ড কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে—বলেন র্যাব অধিনায়ক। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হচ্ছেন-
১। বাচ্চ মিয়া (৫৫), পিতা: মত আলী আকবর, ঠিকানা: কড়ইবাড়ি, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
২। রবিউল আওয়াল (৫৫), পিতা: মৃত ছপি মোল্লা, ঠিকানা: কড়ইবাড়ি, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা৩। আতিকুর রহমান (৪২), পিতা: বাচ্চু মিয়া,ঠিকানা: কড়ইবাড়ি, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
৪। মোঃ বায়েজ মাস্টার (৪৩), পিতা: রবিউল আওয়াল, ঠিকানা: কড়ইবাড়ি, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা ৫। দুলাল (৪৫), পিতা: মালু মিয়া, ঠিকানা: হায়দরাবাদ, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
৬। আকাশ (২৪), পিতা: দুলাল, ঠিকানা: হায়দরাবাদ, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা অভিযানে আসামিদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। মোবাইল চুরির ঘটনার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে।
এর মধ্যে মামলার ৩ নম্বর, ৫ নম্বর এবং ৩৩ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও *তিনজন সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ঘটনার প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার মধ্যরাতে থানায় মামলা করা হয়। এতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকেও আসামি করা হয় ুমামলাটি দায়ের হওয়ার পরপরই র্যাব দ্রুত অভিযানে নামে এবং মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়—বলেন র্যাব-১১ অধিনায়ক।
র্যাব জানিয়েছে, এখনো যারা পলাতক রয়েছে, তাদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ুএই মামলার তদন্ত এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটি এখানেই শেষ নয়।