নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বলদাখাল থেকে বুড়িচং উপজেলার নিমশা পর্যন্ত প্রায় ৩৭ কিলোমিটারজুড়ে থেমে থেমে যানজট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভোর পাঁচটার দিকে চান্দিনার নূরতলা এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি লরি ও একটি ট্রাক এবং ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার যারজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশ রেকার এনে দুর্ঘটনাকবলিত যানগুলো দ্রুত সরিয়ে নিলে পুনরায় চলাচল শুরু হয়। তবে যান চলাচল শুরুর পর কিছু চালক উল্টো পথে গাড়ি চালাতে থাকেন, এতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা দিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মানুষ ঢাকায় যান। একসঙ্গে অসংখ্য যানবাহন পারাপারের কারণে টোল প্লাজায় যানজট তৈরি হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় দাউদকান্দির স্বল্পপেন্নাই এলাকায় কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কুমিল্লা বিশ্বরোড থেকে রওনা দিই। নিমশা এলাকায় এসে যানজটে পড়ি। এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টায় অতিক্রম করতে হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যানচালক ওবায়দুল হক ও দাউদকান্দিগামী পাপিয়া পরিবহনের চালক সামসুল আলমও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান।’
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।