1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
মুরাদনগরে নববর্ষকে সামনে রেখে ব্যস্ত কুমারপাড়া - Dainik Cumilla
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক এমপি বাহারের বিলাসবহুল বাড়ি ও জমি জব্দের আদেশ দেবিদ্বারে ধান মাড়াইয়ের সময় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু কুমিল্লা আইনজীবী সহকারী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার দাবিতে ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও দোয়া কুয়েট শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও ভিসির পদত্যাগ দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপন্ন প্রজাতির লক্ষ্মীপেঁচা উদ্ধার চৌদ্দগ্রামে চিহিৃত মাদক কারবারি কর্তৃক অসহায় পরিবারের উপর হামলা চৌদ্দগ্রামে অসহায় নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা, থানায় অভিযোগ ছয়দফা দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা, যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপ, ফাঁকাগুলি কুমিল্লায় নববর্ষে শহীদ মুগ্ধ স্মরণে ১০ হাজার তৃষ্ণার্তকে পানি বিতরণ

মুরাদনগরে নববর্ষকে সামনে রেখে ব্যস্ত কুমারপাড়া

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৫ বার পঠিত

মুরাদনগর প্রতিনিধি:

বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কুমারপাড়ার কারিগররা মাটির খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আর কয়েকদিন পরই পয়লা বৈশাখ। বাংলার ঐতিহ্য বৈশাখী মেলা সারাদেশের মতো মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দিনব্যাপী বসে বৈশাখী মেলা। প্রতিবছর এই বৈশাখী মেলায় নারী, পুরুষ শিশুরা উপস্থিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করে। বৈশাখী মেলা এলেই অসংখ্য নারী শিশু মাটির খেলনা কিনতে মেলায় ভির করে। আর এসব খেলনা তৈরী করে এখানকার কুমার পাড়ার কারিগররা। বাপদাদার পেশা বলে আজও তারা মাটি দিয়ে খেলা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

উপজেলার রামচন্দ্রপুর, কামাল্লা, পাচকিত্তা, শ্রীকাইল এলাকার কুমারপাড়াগুলোতে চলছে মাটির জিনিসপত্র। তৈরির পর রং তুলির শেষ ব্যস্ততা। নববর্ষের বর্ষবরণ এবং বিভিন্ন স্থানের মেলায় মাটির পাত্র, হাড়ি, কলস, দইয়ের পাত্র, সানকিসহ বিভিন্ন খেলনা যেমন-বাঘ, হরিণ, গরু, ঘোড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন পশু-পাখি, ফুলের টব, রকমারী পুতুল তৈরী করতে বিরামহীন কাজ করছে কুমারপালেরা। বিভিন্ন তৈজসপত্র ও ঘর সাজানোর উপকরণগুলো ইতোমধ্যেই চলে গিয়েছে শহরের বিভিন্ন দোকানে। ইচ্ছে মত রং আর তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নিচ্ছেন এসব উপকরণগুলো।

কামাল্লা গৃামের সন্ধ্যা রাণী পাল ও শিখা রাণী পাল জানান, এখন আগের মতো মাটির জিনিসের কদর নেই। সারা বছর টানাপোড়েনের মধ্যে চলে তাদের সংসার। পূর্বপুরুষের পেশা হওয়ায় ইচ্ছা হলেও ছাড়তে পারছেন না তারা। সারা বছর অবসর সময় পার করলেও, বৈশাখী মেলায় মাটির তৈরি খেলনা ও জিনিসপত্রের চাহিদা থাকায় এ সময়টাতে একটু ব্যস্ততা থাকে তাদের।
কথা হয় মৃৎশিল্পী হরি ভূষন পালের সাথে। তিনি বলেন, ‘বছরের এই একটা উৎসব ঘিরে তাদের অনেক আশা থাকে। এমনিতে সারা বছর মৃৎশিল্পের তেমন চাহিদা থাকে না। এখন আর মাটির জিনিসের তেমন কদরও নেই। বৈশাখ মাস এলে মেলায় মাটির তৈরি খেলনা ও সামগ্রীর চাহিদা থাকে। তাই এ সময়টায় কিছু আয় হয়।’ তবে তিনি হতাশার সুরে বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে আমরা কোন সহযোগীতা পাইনা! সরকার যদি আমাদেরকে সহযোগীতা করতো তাইলে ব্যবসাটা ভালোভাবে করতে পারতাম!’

রামচন্দ্রপুর গ্রামের খুশি পাল বলেন, ‘আমার বয়স প্রায় ৫০ ছুঁই ছুঁই। আমার বিয়ের পর থেকেই এই পেশার সঙ্গে আমি জড়িত। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন নেই। এই শিল্পের সঙ্গে আমাদের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল।’

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD