1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
ইসলামে বিজয় দিবস পালন - Dainik Cumilla
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঢাকাস্থ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উন্নয়ন সংস্থার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা-৯ নির্বাচনি আসন পুনর্বহাল ও খসড়া বাতিল দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিজয় র‌্যালী বুড়িচংয়ে মসজিদে নামাজরত যুবককে ছুরিকাঘাত: অভিযুক্ত ২ জন গ্রেপ্তার নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন আগামী দিনের বাংলাদেশ কীভাবে চলবে তা নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরাই ঠিক করবেন: ডা. জাহিদ হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে লাকসামে জামায়াতের গণমিছিল বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ চৌদ্দগ্রামে জুলাই শহীদ জামশেদ ও মাওলানা শাহাদাতের কবর জিয়ারত করলো জামায়াত নাঙ্গলকোটে বৃষ্টিতে ভিজে জামায়াতের গণমিছিলে জনতার ঢল চৌদ্দগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জামায়াতের গণমিছিল

ইসলামে বিজয় দিবস পালন

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৭৯ বার পঠিত

 

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।।

বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন । ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এই ঐতিহাসিক বিজয় অর্জিত হয়। এ দিবসটি আমাদের জীবনে অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্যমণ্ডিত। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম, অনেক রক্ত, লাখো শহীদের আত্মদান আর কোটি মানুষের অশ্রু বিসর্জনের মাধ্যমে আমরা সেদিন এই বিজয় অর্জন করেছিলাম। এ বিজয়ের গৌরব ও আনন্দ অম্লান হয়ে থাকবে অনন্তকাল। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব প্রিয় মাতৃভূমির ভূখণ্ড রক্ষা করা এবং ভালোবাসা। দেশের জন্য আত্ম উৎসর্গকারীদের জন্য দোয়া করা। এটাই ইসলামের আদর্শ। চলমান প্রবন্ধে ইসলামের দৃষ্টিতে বিজয় দিবস উদযাপন নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

শরিয়তের সীমার মধ্যে বিজয় দিবস উদযাপন করা দোষণীয় নয়, বরং পছন্দনীয় ও প্রশংসনীয়। বিজয় দিবস সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের দুটি সুরা আমাদের সামনে রয়েছে। একটি সুরা ফাতাহ। ফাতাহ শব্দের অর্থ হচ্ছে বিজয়। আরেকটি সুরার নাম হচ্ছে সুরা নাসর। নাসর মানে মুক্তি ও সাহায্য। সুরা নাসরে মহান আল্লাহ বলেন, যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে লোকদের ইসলামে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন স্বীয় রবের প্রশংসার সঙ্গে তাসবিহ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করুন। (সুরা আন নাসর)।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুরা নাসরে বিজয়ের দিনে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। প্রথম: বিজয়ের দিন যখন আসবে তোমরা তাসবিহ পাঠ কর, আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা কর। দ্বিতীয়: আল্লাহর হামদ পাঠ কর, শুকরিয়া আদায় কর। তৃতীয়: মুক্তিযুদ্ধের সময়, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যদি ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাওয়া। তাহলে বিজয়ের দিনে মুসলমানদের কাজ হলো আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করা, আল্লাহর প্রশংসা করা এবং আল্লাহর দরবারে পাপ মোচনের জন্য প্রার্থনা করা।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১০ বছর পর বিজয়ী বেশে সহস্র সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে যখন মক্কা নগরীতে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি চেহারা নিম্নগামী অবস্থায় একটি উটের উপর বসা ছিলেন। প্রথমে হযরত উম্মে হানীর ঘরে প্রবেশ করে আট রাকাত নামাজ আদায় করলেন। সেই নামাজকে সালাতুল ফাতাহ বা বিজয়ের নামাজ বলা হয়।

আমাদেরও এভাবেই ইসলামের শিখিয়ে দেয়া পদ্ধতি দিয়ে বিজয় দিবস পালন করা দরকার। এদিন নফল নামাজ পড়ে এবং মহান আল্লাহর দরবারে তাসবিহ, তাহমিদ পাঠ করে বিজয়ের জন্য তাঁর শোকর আদায় করতে পারি। আর কোরআন তেলাওয়াত করে এর সওয়াব দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন, বুকের রক্ত দিয়েছেন, সেই শহীদ ভাই-বোনদের রুহে সওয়াব রেসানি করতে পারি। তাদের জন্য দোয়া করতে পারি। আর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং শান্তিময় ও সমৃদ্ধিশালী উন্নত ও আদর্শ দেশ গঠনে শপথ নিতে পারি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক সেই তাওফিক দান করুন , আমিন।

 

লেখক —

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির
ধর্ম ও সমাজ সচেতন লেখক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপস্থাপক ও চেয়ারম্যান -গাউছিয়া ইসলামিক মিশন, কুমিল্লা।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD