কুবি সংবাদদাতা
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে প্রতীকী আত্মহত্যা মঞ্চ বানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। যেখানে একজন শিক্ষার্থীকে সাদা কাপড়ের ওপর লাল-সবুজ কালিতে “মেধা থাকার পরও কোটা পদ্ধতি আমাকে বাঁচতে দেয়নি”, “তর ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে মা” কাপড় গায়ে জড়িয়ে একটি প্রতীকী গাছের সাথে ঝুলে থাকতে দেখা যায়।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এসময় মহাসড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের বর্তমানে একটাই দাবি, সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘মেধা যার, মেধা যার; চাকরি তার চাকরি তার’, ‘মুক্তি যুদ্ধের মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘স্বাধীনতার মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘রেলের ৪০% কোটা মুক্ত করে রেল সম্পদ রক্ষা করো’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ইত্যাদি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটার কারণে আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার প্রভাব অনেক বেশি। আমরা কোটা বাতিল না, সংস্কার চাই। দ্রুত কোটা সংস্কার না করলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
এসময় তারা আরো বলেন, কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে সংবিধানে যে সমতার কথা বলা হয়েছে তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কোন রাষ্ট্র এতোটা বৈষম্যের মাধ্যমে চলতে পারেনা। এই বৈষম্যের ফলে এই দেশে থাকতে চাইবেনা আর। ফলে এই জাতি একদিন মেধাশূন্য জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ও ৭ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এছাড়াও, গত শনিবার (৬জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।