কুবি সংবাদদাতা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম।
বুধবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে বেলা সোয়া বারোটা থেকে প্রায় এক ঘন্টা পর্যন্ত তিনি এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তিনি ‘জীবনের নিরাপত্তা চাই’, ও ’শারীরিক ভাবে হামলাকারী কাজী ওমর সিদ্দিকী, সন্ত্রাসী প্রক্টরের অপসারণ ও তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ লিখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান।
পরে তাঁর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে পাশে দাঁড়ান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
গত ২৮ শে এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের কক্ষে তালা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। তখন উপাচার্যের নেতৃত্বে সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় উপাচার্য নিজে কনুই দিয়ে ধাক্কা মারেন এক শিক্ষককে এবং প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোকাদ্দেস উল ইসলামকে গালে ঘুষি মারেন।
এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে। এছাড়াও প্রক্টরের অপসারণ চেয়ে প্রশাসন বরাবর লিখিত চিঠি প্রেরণ করেছিলো ড. মোকাদ্দেস উল ইসলাম। তবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। বিচার না পেয়ে প্রক্টরের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থানের বিষয়ে ড. মোকাদ্দেস উল ইসলাম বলেন, যারা আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তারাই আমাদের রক্ষার বদলে ভক্ষক হয়ে উঠেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তাঁরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। যেখানে শিক্ষকরা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। সেখানে আমিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। গত দুই সপ্তাহ আগে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
তিনি আরও বলেন, তিনি (প্রক্টর) এর আগেও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সবার আগে তাঁর অপসারণ করা উচিত এবং তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত।