1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
ভেতরে পরীক্ষা, বাইরে অপেক্ষা আর উৎকণ্ঠা - Dainik Cumilla
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় চাঁদাবাজীর অভিযোগে ৩ রাজনৈতিক নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী কুমিল্লায় আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ২০ কুমিল্লার হোমনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার, দরবার ও খানকা শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি: গাউছিয়া ইসলামিক মিশন মুরাদনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ১ বছর পর যুবকের লাশ উত্তোলন কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ সুপারের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন চৌদ্দগ্রামে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল ও প্রি-পেইড মিটারের অনিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কুমিল্লায় মাজার ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ছে স্ক্যাবিসের সংক্রমণ। চৌদ্দগ্রামে মেধা বিকাশ ইংলিশ লার্নিং স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সীমান্তে ২৬ লাখ টাকার ভারতীয় বাজি জব্দ

ভেতরে পরীক্ষা, বাইরে অপেক্ষা আর উৎকণ্ঠা

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
  • ৩৬৩ বার পঠিত

 

কুবি প্রতিনিধি

একজন শিক্ষার্থীর ১২ বছর ধরে অর্জিত জ্ঞান ও পরিশ্রমে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন দখল করতে রাতদিন পরিশ্রম করতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাঁদের এই স্বপ্ন পূরণের অন্যতম সারথি বাবা-মা।

শুক্রবার (১০ মে) সারাদেশে একযোগে ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পরীক্ষা চলাকালীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা।

জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম সিঁড়ি এই ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীরা দিলেও ছায়া হিসেবে সবসময়ই পাশে থাকেন বাবা-মা।

এমনই কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা হয় দৈনিক কুমিল্লার। তাঁরা জানিয়েছেন, সন্তানের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে তাদের অনুভূতি; সন্তানকে নিয়ে দেখা তাদের স্বপ্ন।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে চাকরি করেন তাহমিনা বেগম। চোখে-মুখে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া থেকে এসেছেন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে। তিনি বলেন, মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে অন্য কোথাও পরীক্ষা দেয়াই নি। আমি চাই সে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুক। বাসার কাছাকাছি থাকুক।

মাঠের সবুজ ঘাসের ওপর বসে কাগজ দিয়ে বাতাস করছিলেন ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ। কুমিল্লার বেলতলী বিশ্বরোড থেকে এসেছেন নাতনিকে নিয়ে। তিনি জানান, নাতনি একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে; বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে এমনটাই প্রত্যাশা নাতনির কাছে।

ফেনী জেলার একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন তাজুল ইসলাম। এসেছেন মেয়েকে নিয়ে। তার কাছে মেয়ের প্রতি প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। কারণ মানুষ যা চায় তা পায়না। জীবন নিয়ে অভিযোগ করতে নেই। কখনো হতাশ হওয়া যাবেনা। সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমার সন্তানদের আমি এই শিক্ষা দিয়েই বড় করেছি।

পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার কামালউদ্দিন এসেছেন কুমিল্লার আলেখারচর থেকে। তিনি জানান, দেশের বাড়ি যশোরে হলেও, চাকরি সূত্রে কুমিল্লায় থাকেন। একমাত্র ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও মেধা যাছাইয়ের জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করাতে নিয়ে এসেছেন।

কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন রূম্পা বণিক। তিনি বলেন, একজন ভর্তিচ্ছু ক্যান্ডিডেটের অভিভাবক হিসেবে এখানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমি আশাবাদী আমার মেয়ে একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়বে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD