সাকলাইন যোবায়ের ।। প্রবাসী হানিফ মিয়া থাকেন সৌদি আরবে। শখ করে আজ থেকে ৬ বছর আগে ৫ টি গরু দিয়ে শুরু করেছেন তানহা ডেইরি ফার্ম। এখন এ ফার্মে ষাড় এবং গাভীসহ গরুর সংখ্যা ১০০ টি। কোরবানীর জন্য ষাড় রয়েছে ৬০ টি।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের ৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের তানহা ডেইরী ফার্মে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাড়ের নাম আদর করে রাখা হয়েছে কুমিল্লার বস। কুমিল্লার বসের ওজন ৩৭ মন বয়স সাড়ে ৪ বছর। প্রতিদিন ৮০০ টাকার খাবার দেয়া হয় কুমিল্লার বস নামের ষাড়টিকে। দিনে দুবার সাবান দিয়ে গোসল করানো হয় কুমিল্লার বসকে। গরুর খাবারের জন্য ২ ভিগা জমিতে ঘাস উৎপাদন ,খড়ের স্তুপ এবং ডালসহ অন্যান্য খাবার ভাঙ্গানোর জন্য নিজের মেশিন রয়েছে। কোরবানীর পশু বেশি দামে বিক্রির জন্য মালিক ও ব্যবসায়ীরা গরুকে নিষিদ্ধ ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা করে। নিষিদ্ধ ওষুধ খেয়ে গরু নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ১০ বা ১২ দিনে অনেক মোটা হয়ে যায় ।
এসকল গরুর রানে বা শরীরের অন্যান্য জায়গায় হাত দিয়ে চাপ দিলে ডেবে যায়। আক্রান্ত গরুর মাংস খেলে মানুষও নানা রোগে আক্রান্ত হয় । এসকল কারণে কুমিল্লার বস ও তানহা ডেইরি ফার্মের সকল পশুগুলোকে প্রাকৃতিক খাবার দেয়া হয় বলে জানান আবু হানিফ।
আমার ভাই ফার্মের তদারকি করেন। আমাদের ফার্মে মোট ১৫ জন লোক গরুগুলো দেখাশোনা করেন।আমার নিজের রাইস মিল থাকায় গরুর জন্য দানাদার খাদ্য নিজেই প্রস্তুত করি। ভুট্টা, গম, চালের গুড়া, মিষ্টি কুমড়া, খইল এগুলো দিয়ে মিক্সার বানিয়ে আমি গরুকে খাওয়াই। বাহিরের কোন খাবার অথবা গরু মোটাতাজা করার জন্য বাজারের কোন ভেজাল জিনিস আমি আমার গরুকে খাওয়াই না। গত বছর কুমিল্লার বস গরুটাকে নেউরা বাজারে ৭ দিন বিক্রির জন্য নেয়া হয়েছিল কিন্তু আমি সৌদি আরব থাকায় গরুটি আমার লোকজন বিক্রি করতে পারেনি।
তাই এবার সৌদি আরব থেকে আমি চলে এসেছি কুমিল্লার বস,কুমিল্লার কিং এবং কুমিল্লার কালা মানিককে বিক্রি করার জন্য। কুমিল্লার টাইগার নামের ২৭ মন ওজনের গরুটির দাম ১২ লাখ টাকা এবং ২৬ মন ওজনের কুমিল্লার কালা মানিকের দাম ১১ লাখ টাকা।
তানহা ডেইরি ফার্ম কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম
৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়ন,
যোগাযোগ ০১৮৪১৪৭৪৫২৪