নিজস্ব প্রতিবেদক
ময়নামতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং পূবালী ব্যাংক আয়োজিত স্কুল ব্যাংকিং শীর্ষক সেমিনার ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
পৃথিবীতে যতগুলো ভালোকাজ টিকে আছে সেগুলোর মধ্যে বৃক্ষরোপণ অন্যতম। শুধু মানুষ নয় বরং সমগ্র জীবজগতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্রহণ ও নিঃসরণের যে চক্র তা নিয়ন্ত্রণ করে বৃক্ষ।
বাসস এর চিফ রিপোর্টার ও কুমিল্লা ময়নামতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি দিদারুল আলম দিদার এ কথা বলেন। ময়নামতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মিলনায়তনে পূবালী ব্যাংক পিএলসি আয়োজিত স্কুল ব্যাংকিং শীর্ষক সেমিনার ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে তিনি আজ এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান ও ডিজিএম মো. মাইনুল ইসলাম, পূবালী ব্যাংক কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের আরআরএম ও এসপিও আক্তার হোসেন, পূবালী ব্যাংক ময়নামতি শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, পূবালী ব্যাংক কংশনগর শাখার ব্যবস্থাপক সজীব গুহ, পূবালী ব্যাংকের অফিসার আবদুল মোতালেব ও আজিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ময়নামতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম। আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সমাজসেবক আবু হোসেন সওদাগর, দানিউল হক, গোলাম মোস্তফা কন্ট্রাক্টর, আবেদ হোসেন বাদল, শামসুল আলম ব্যাপারী, নূরুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দিদারুল আলম বলেন, স্কুল ব্যাংকিং এখন সময়োপযোগী একটি ব্যবস্থা। সকলেই সঞ্চয়ে মনোযোগী হলে ভবিষ্যতে এটি জীবন চলায় আর্থিক প্রয়োজন মেঠায়।
তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়, পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে পরিবেশ-প্রকৃতিকে রক্ষা করতে বৃক্ষ প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই যে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা, সূর্যের তাপে মানুষ পুড়ছে-এর পেছনেও বৃক্ষ সংকটের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
দিদারুল আলম বলেন, বৃক্ষরোপণ একটি জীবন্ত সাদকাহ। এ সম্পর্কে মুহাম্মদ (সা.) মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনো মুসলিম কোনো গাছ রোপণ করে অথবা ক্ষেতে ফসল বোনে। আর তা থেকে কোনো পোকামাকড় কিংবা মানুষ বা চতুষ্পদ প্রাণী খায়, তাহলে তা তার জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে।
ইসলাম ধর্ম বৃক্ষরোপণকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং গুরুত্বসহকারে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
দিদারুল আলম বলেন, পরিবেশ শান্ত, শীতল ও মনোমুগ্ধকর রাখতে গাছের ভূমিকা অপরিহার্য। অপ্রয়োজনে বৃক্ষনিধনকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। বৃক্ষরোপণে বেশি বেশি এই মুহূর্তে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বৃক্ষ মাটির ক্ষয় রোধ করে, বন্যা ও ঝড় থেকে সুরক্ষা দেয়, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে এবং ভূমিকে শীতল রাখে। এছাড়াও, বৃক্ষ আমাদের খাদ্য, ঔষধ, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। বর্তমান দুনিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতিতে নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে বেশি বেশি বৃক্ষরোপন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
পূবালী ব্যাংকের ডিজিএম মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় সঞ্চয় অপরিহার্য। গ্রাম পর্যায়ে অধিকাংশ মানুষই নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। অধিকাংশ মানুষই নির্দিষ্ট আয়ের উপর জীবনযাপন করেন। ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে সঞ্চয় একটি মৌলিক প্রয়োজন।
তিনি বলেন, স্কুল ব্যাংকিং এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। এটি বুঝে এ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সঞ্চয় করলে ভবিষ্যৎ অনেক প্রয়োজন মেঠায়। এ ব্যাংকিং অতি প্রয়োজনীয়, তাই এটিকে আরও জনপ্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেমিনারের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করছি।