নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-ুচট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার পদুয়া বাজার এলাকায় অবরোধ করেছে আহলে সুন্নাতে ওয়াল জামায়াত। সোয়া এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন আহলে সুন্নাতে আল জামায়াত ও ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা। এই সময়ে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।
৫ মে সোমবার সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা অবরোধ করে আহলে সুন্নাতে ওয়াল জামায়াতের নেতাুকর্মীরা। এ সময় মহাসড়কের উভয়মুখী লেনে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তিতে পড়েন শিশু ও নারীরা। পরে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের পদুয়ার বাজার এলাকায় নুরজাহান হোটেলের সামনে আজ সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের নেতাুকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। প্রথমে উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অবরোধকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাঁরা মহাসড়কে নেমে পড়লে দুই দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের অনেকে মহাসড়কে বসে পড়েন। এতে ঢাকাু-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশাপাশি কুমিল্লাু নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধকারীরা রইস হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রশাসন ও পুলিশের অনুরোধে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে যান।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী আসমা আক্তার (৫২) বলেন, যানজটে বসে আছি ঘন্টা খানেক।
হত্যার আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ আসামিদের ধরছে না। তাই আজ শান্তিপূর্ণভাবে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার না করলে সারা দেশ অচল করে দেওয়া হবে।
কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবরোধের কারণে ছয় কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
উল্লেখ, গত ২৭ এপ্রিল সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দারাবাদ এলাকার একটি মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গাছে বেঁধে মারধর করেন একদল লোক। পরে সকাল ১০টার দিকে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরদিন ভোরেই কারাগারে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। এই সংগঠনের সহযোগী সংগঠন হল ইসলামী ছাত্রসেনা।