1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস - Dainik Cumilla
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় দশ বছর ধরে আওয়ামী প্রভাবে বহাল তবিয়েতে গবেষণা কর্মকর্তা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া প্রয়োজন- সৈয়দ তাহের লাকসামে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার মাহফিল কুমিল্লার ধর্মসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার কুমিল্লার চান্দিনায় পুরুষকে বেঁধে নারী কর্মীকে যৌন নির্যাতন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদকসেবনকারীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড ইসলামী ফ্রন্টের উদ্যোগে ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ, হতাহত ২০ কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে কলেজছাত্রীর মৃত্যু, আহত পাঁচজন

আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৫ বার পঠিত

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির

আজ ১৭ রমজান। ২য় হিজরির এই দিনে মহানবী (সা.)’র নেতৃত্বে ৩১৩ জন সাহাবায়ে কেরামের একটি মুজাহিদ বাহিনী বদর প্রান্তরে উপস্থিত হন। ইসলামের ইতিহাসে যাকে জঙ্গে বদর বা বদর যুদ্ধ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ইসলামের ঐতিহাসিক এ যুদ্ধেকে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইয়াওমুল ফুরক্বান বলে ঘোষণা করেছেন। মদিনা শরীফ থেকে প্রায় ষাট মাইল পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের নাম বদর। তখনকার দিনে পানির প্রাচুর্য থাকায় স্থানটির গুরুত্ব ছিল অত্যধিক। এখানেই তাওহীদ ও কুফুর-শিরকের মধ্যে সর্বপ্রথম সংঘর্ষ ঘটে দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজানুল মোবারক মোতাবেক ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মার্চ, শুক্রবার। ‘আরব জাতির ইতিহাস’ গ্রন্থে বলা হয়েছে বদরের যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধ ও প্রকাশ্য বিজয়। এ ছিল এক আশ্চর্যজনক দৃশ্য। মুসলিম শরীফে বর্ণিত, রাসুল (সা.) তখন খুবই ভারাক্রান্ত অবস্থায় ছিলেন। দু’হাত তুলে তিনি আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করছিলেন আর বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ! হে রাব্বুল আলামীন! তুমি আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছো তা আজ পূরণ করো। আত্মবিশ্বাস ও আত্মহারা অবস্থায় তাঁর চাদর কাঁধ থেকে বারবার গড়িয়ে পড়ছিল। কখনো-বা তিনি সিজদায় লুটিয়ে পড়ছিলেন আর বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ! আজ যদি এই দলটি ধ্বংস হয়ে যায়, তা হলে কিয়ামত পর্যন্ত তোমার ইবাদত করার কেউ থাকবে না।’-মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ ওয়াস সিয়ার।

হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, মহান আল্লাহ তাঁর ওয়াদা পূরণ করবেন। আপনি উঠুন।-বুখারি, কিতাবুল মাগাজি। অবশেষে আত্মিক প্রশান্তি সহকারে তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন, যার অর্থ ‘অতিসত্বর বাহিনী পরাজিত হবে এবং পলায়ন করবে।’-বুখারি, কিতাবুল মাগাজি।

এই যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ ও জীবনবাজির সর্বাধিক বিস্ময়কর দৃশ্য ছিল। উভয় দল মুখোমুখি হলে দেখা গেল, স্বয়ং আদরের কলিজার টুকরো সন্তানরাই তলোয়ারের সামনে। হযরত আবু বকর (রা.)-এর ছেলে যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হলে তিনি তলোয়ার হাতে বের হন।-সিরাতুন নবী, শিবলি নুমানি, ১ম খণ্ড।
উতবা ময়দানে অবতরণ করলে তার ছেলে হুযায়ফা (রা.) তার মোকাবিলায় বের হন। হযরত উমর (রা.)-এর তলোয়ার এই যুদ্ধে আপন মামার রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল।-ইবন হিশাম, ১ম খণ্ড। পরিশেষে, মুসলিম সৈন্যদের হাতে বিজয় ধরা দেয়। বুখারি, কিতাবুল মাগাজি।
ইসলামের প্রথম যুদ্ধ ও বিজয় অর্জনে যেমন ঈমানী চেতনা, অদম্য সাহস এবং ত্যাগ স্বীকার করে আল্লাহর রাসূল সা: ও সাহাবায়ে কেরামগণ রাব্বুল আলামীনের সরাসরি সাহায্য প্রাপ্ত হয়েছিলেন, তেমনি শক্ত মনোবল নিয়ে মুসলিম জাতিকে ঘুরে দাঁড়াতে বদরী শিক্ষা ও আদর্শ ধারণ করা প্রয়োজন। সেই চেতনা ও জজবা আমাদের মাঝে সৃষ্টি হোক। আমিন।।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD