1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
তিতাসে গোমতীর স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন বাড়িঘর, খোলা আকাশের নীচে শত শত পরিবার - Dainik Cumilla
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে কনকাপৈত ইউনিয়নে ০৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল মাহে রমজান সংযম, ত্যাগ, ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয়: সফিকুর রহমান ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু

তিতাসে গোমতীর স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন বাড়িঘর, খোলা আকাশের নীচে শত শত পরিবার

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৩৯ বার পঠিত

 

মহসিন বিন হাবিব তিতাস:

বন্যায় গোমতী নদীর স্রোতে ভাঙনের কবলে কুমিল্লা তিতাস উপজেলা নারান্দিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ও পূর্ব পাড়া। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অনেকর বাড়িঘর, মসজিদ বৈদ্যুতিক খুটি, মুরগির খামারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর তীরবর্তী শত পরিবার নদীভাঙন আতঙ্কে খোলা আকাশের নীচে রাতজেগে পাহারা দিচ্ছেন তীরবর্তী শত শত নারী পুরুষ। এছাড়া প্রতিবছর শত শত বসতভিটা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যাবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। দিশেহারা এখানকার শত শত পরিবার। টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গোমতীতে ক্রমশই বাড়ছে স্রোতের গতি। হুমকির মুখে রয়েছে উভয় পাড়ের শত শত বসতভিটা ও বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহর অধিক সময়ে নদী ভাঙনে অনেকের বসতভিটা, জমিজমা’ ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। স্রোত বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শত শত পরিবারের বসতভিটা হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় শত শত পরিবার অন্যত্র ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন । আবার কেউ বিল্ডিং এর ভেতর থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন,আবার কেউ আধা পাকা ঘরের টিনের চাল খুলে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এখন নৌকা ছাড়াও চলাচল দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

সর্বক্ষণ আতংকে, অনিদ্রা, অনাহারে প্রহর গুনছেন সহায়, সম্বলহীন মানুষগুলো ।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় পঞ্চাশ বছর যাবৎ আমরা এই গড়া এবং ভাঙনের খেলা খেলছি । আমরা আর পারছিনা আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। ভাঙনের এই তাণ্ডব ছেড়ে হাজারো পরিবার অন্যত্র চলে গেলেও আমরা পারছি না আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে। আমাদের আপনারা বাচাঁন।

নারান্দিয়া পশ্চিম পাড়া হাকিম হাজী বললে আমার সব কিছু হারিয়ে আমি এখন নি:শ্ব। আমি শুধুই অন্ধকার দেখছি। আমার যতটুকু যায়গা ছিল তা নিদী গর্ভে বিলীন হয়ে শেষ আশ্রয়টুকুও শেষ। আমি এখন কোথায় যাব??। অপরদিকে মৃত আলতাফ আলীর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই, তারপর প্রবাসে ছেলেটাও মারা যায়, সব হারিয়ে শেষ সম্বল এই যায়গায় আশার বাসা বেধেছিলাম। এটিও হারিয়ে গেল এখন আমার যাবার কোন যায়গা নেই। আমার নাতিপুতিদের নিয়ে কোথায় থাকব।

সরকার যদি আমাদের পাশে দাড়ান তবে আমরা কোন রকম বাচঁতে পারব। এ ছাড়া আমারদের আর কোন রাস্তা নেই।
এ ব্যাপারে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, আমরা সর্বদাই তাদের খোঁজ নিচ্ছি। তাছারা তাদের ঘরে ঘরে ত্রান দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের লিস্ট করেছি সরকারি বরাদ্দ এলে তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব। এবং তাদের থাকার ব্যাপারে কোন সমস্যা হলে তাদের জন্য আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলো খোলা আছে। সেখানে তারা আশ্রয় নিতে পারবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD