নেকবর হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা। উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে অধিকাংশ এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
গত দুই দিন ধরে নেই বিদ্যুৎ। বলা চলে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে তলিয়ে যাওয়া সড়কে ত্রাণ এবং নৌকাবাহী দুই একটি ট্রাক চলতে দেখা গেছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে এই সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে সঠিক তথ্য না জানায় উদ্ধার তৎপরতায় এবং ত্রাণ বিতরণেও সমস্যা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে ভেঙে পড়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতীর বাঁধ। এরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্লাবিত হয় পুরো উপজেলা। এতে ডুবে যায় অনেক এলাকার ঘরবাড়ি। নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল টাওয়ারগুলো। অনেক এলাকায় শনিবার ভোর পর্যন্ত ব্যাটারি দিয়ে টাওয়ারগুলো সচল রাখা হয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ এলাকায় নেটওয়ার্ক না থাকায় মোবাইল যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। এতে পানিবন্দিদের মাঝে ত্রাণেরও সমস্যা হচ্ছে।
অপরদিকে বুড়িচং উপজেলার প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা অনেকটাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে ত্রাণ এবং নৌকা বহনকারহী দুই-একটি ট্রাক চলতে দেখা গেছে।
স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, অনেক এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় পানিবন্দিদের উদ্ধার এবং ত্রাণ বিতরণেও সমস্যা হচ্ছে। বানভাসিদের খাবার পৌঁছানের অপেক্ষায় রয়েছি।
কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্ধশতাধিকের বেশি গ্রাম পানির নিচে। এতে বিদ্যুতের মিটারগুলো পানিতে ভাসছে। দুর্ঘটনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।