1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেলেন কুমিল্লার মেয়ে অবন্তিকা - Dainik Cumilla
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
দেবীদ্বারে ভ্যানচালকে চোখ উপড়িয়ে হত্যা, প্রধান আসামী গ্রেফতার বিজিবির অভিযানে সাড়ে ১৭ লাখ টাকার ভারতীয় বাজি ও বাসমতী চাল জব্দ কুমিল্লায় বিএনপি অফিসে ‘পদবঞ্চিতদের’ আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ কুমিল্লায় চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের রায়হান এজেন্সিতে ক্যাশ কাউন্টার উদ্বোধন নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা সাংবাদিকতা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় শহীদ উল্লাহ মিয়াজীকে সম্মাননা প্রদান কুমিল্লার দাউদকান্দির শাকিল হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩ বুড়িচংয়ে ময়নামতিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের মৃত্যু কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে আন্তঃকলেজ ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা- ২০২৫ উদ্বোধন কুবিতে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেলেন কুমিল্লার মেয়ে অবন্তিকা

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪
  • ৩০৮ বার পঠিত

দৈনিক কুমিল্লা রিপোর্ট ।।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুমিল্লার মেয়ে ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল করিম খন্দকার।

ফাইরোজ সাদাফ কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। কুমিল্লার নগরীর বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আত্মহত্যার বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন।
যে মেয়েটা নারী নির্যাতন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পূনর্বাসন, আত্যহত্যা প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করতো তাকেই আত্যহত্যা করতে হলো।

আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনও সুইসাইড করে মারা যাই, তবে মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী। আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের) সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানাভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে, যে আমাকে বহিষ্কার করা উনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনও জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতামও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজিং কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনও আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্টদের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায়, সেটা কুমিল্লার কারো সৎ সাহস থাকলে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাত বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে বলে, ‘… তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলছস কেন? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে ছাল তুলি, কে বাঁচাবে? আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিল। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিক্যাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তে থাকে না এমন পোস্টে। যেখানে এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সে কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনও সলিউশন না, কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইছিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না, এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজারটা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনও গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করছি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।’
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল করিম খন্দকার বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক দেখে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরও স্বজনদের আকুতির কারণে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম  বলেন, ‘আমি তো কোনোদিন কারো ক্ষতি করি নাই। আমার মেয়ে ভালো ছাত্রী ছিলো, এটাই কি তার অপরাধ ছিলো! আমার মেয়ে ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট ছিলো, এটাই কি তার অপরাধ! গত বছর আমার স্বামীকে হারাইছিলাম আর আজকে আমার মেয়েকে হারাইলাম। আমি এখন এর বিচার চাই। রাফি, আম্মান, মাহিয়ান, লাকি, রিমি, আখি, বর্ণা, দ্বীন ইসলাম (শিক্ষক) এরা মিলে আমার মেয়ে মানসিক টর্চার করতো। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন ভোর পৌনে ৫ টায়  জানান,ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা কেন করলো এর পিছনের মোটিভ কি এগুলো আমরা তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিব। নিহত পরিবার এখনো অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে,। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর নিয়তের ময়না তদন্ত করা হবে।

 

 

 

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD