নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণে ৩৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও ৫৫ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান জানান, বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে ইতোমধ্যে ৫-৬ স্তরের নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ কেন্দ্র এসে ভোট প্রদান করতে পারেন আমরা সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সচেষ্টা রয়েছি। গ্রাম পুলিশ, আনসার, নিয়মিত পুলিশ, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীর সমন্বিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সচেষ্ট রয়েছে।
কুমিল্লায় ৬ স্তরের নিরাপত্তাতিনি আরো জানান, কুমিল্লার সকল কেন্দ্রগুলোর বাইরে আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে- যেন কেন্দ্রের বাইরে কেউ সহিংসতা কিংবা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, কুমিল্লার ১১ টি আসনে ১৪৩৫টি কেন্দ্রে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ, মোবাইল টিম,স্টাইকিং টীম ও স্ট্যান্ড বাই টিমের মাধ্যমে পুলিশি তৎপরতা চালানো হবে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা আগে থেকেই করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বহিরাগত ও অস্ত্রধারীদের ঠেকাতে সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে পুরো জেলা জুড়ে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে সাজানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, যারা ভোট দিতে চায়- আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।