1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকেলেও চৌদ্দগ্রামে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন মুজিবুল হক - Dainik Cumilla
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নামাজ পড়তে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকেলেও চৌদ্দগ্রামে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন মুজিবুল হক

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১১৫ বার পঠিত

 

সাকলাইন যোবায়ের।
ভোটের হাওয়া লেগেছে সারাদেশে। যা উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আসনভিত্তিক প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন হিসাব কষছে ক্ষমতাসীনরা। পিছিয়ে নেই বিরোধী দলগুলোও। বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বললেও মাঠ পর্যায়ের নেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুমিল্লা জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনটি।
এখানে একসময়ে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর আধিপত্য ছিল।
জামায়াতের বর্তমান কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ২০০১ সালে এখান থেকেই এমপি হয়েছিলেন। জামায়াত নেতা তাহের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আসনটিতে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছিলেন বলে ওই এলাকার স্থানীয় মানুষের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। জামায়াতে আধিপত্যের এ ঘাটিতে চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান
তৈরি করেছেন বর্তমান এমপি সাবেক
রেলপথমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক মুজিব। আওয়ামী লীগের সময় উন্নয়নের
ছোঁয়ায় পাল্টেছে জীবনমানও। এবারও এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু বলেন, মুজিবুল হক চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের স্বার্থে তিনিই আবার মনোনয়ন পাবেন।৷
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিনি স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে মুজুবুল হক দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি একই আসনে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে ৭ম সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮-২০০১ সালে তিনি মহান জাতীয় সংসদের হুইপ (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন) নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি ২৫৯ কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে পুনরায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি মহান জাতীয় সংসদের হুইপ (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন) নিযুক্ত হন। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে তার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। গত ২১ শে নভেম্বর ২০১৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনীত করেন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন। ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য মনোনীত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোঃ মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) নির্বাচনী এলাকা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নিয়ে তিনি ৩ বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জানুয়ারি, ২০১৪ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাকে মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনীত করেন এবং পুনরায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন। এ নিয়ে তিনি তিনবার মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ আসন থেকে তিনি আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

মুজিবুল হক বলেন,চৌদ্দগ্রাম আসনটিতে প্রধানমন্ত্রীর অবদানে আওয়ামী লীগের আমলে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা,রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসহ সব সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। আমি এমপি হয়ে নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ নৌকায় ভোট দেবেন।’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসেন
সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে
আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এ আসন থেকে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। তিনি যখন এমপি
ছিলেন, তখন এলাকায় শান্তি ছিল। ।

চৌদ্দগ্রামের বিএনপি থেকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. কামরুল হুদা। বর্তমানে তার নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মসূচিগুলো পালিত হচ্ছে। এ ছাড়া এ আসন
থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী নাছিমুল হক মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। কামরুল হুদা জানান, দল
নির্বাচনে অংশ নিলে তিনি মনোনয়ন চাইবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে চৌদ্দগ্রাম আসনে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন
বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত কাজী জাফর
আহমেদের নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় চৌদ্দগ্রামে জাতীয় পার্টির কিছুটা প্রভাব রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে দলের কয়েকজন নেতা বেশ ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় মনোনয়নে প্রার্থী হওয়ার
বিষয়ে।

বেশ কয়েকজন নেতা এবার তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মধ্যে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, উপজেলা
যুবলীগের সভাপতি ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার অন্যতম। এমপি
মুজিবুল হকের এই মেয়াদের মাঝামাঝি সময় থেকে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিও আলাদা আলাদাভাবে পালন
করছেন তারা। উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা ও রাজনৈতিক সারথিদের মুজিবুল হক থেকে বিচ্ছিন্নতা ভোটের
মাঠে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিজেদের বঞ্চিত মনে করা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান
ভূঁইয়া হাসান, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রশিদ
বুলু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম
জনশক্তিবিষয়ক উপকমিটির
তমিজউদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম মনোনয়ন নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া এ আসনে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য
সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা কামাল নৌকার মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। মো. মুজিবুল হক মুজিব এমপি বলেন, ‘আমি নির্বাচনের জন্য শতভাগ
প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর অবদানে এবং তার নির্দেশে চৌদ্দগ্রামের ৪২৯টি গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
দীর্ঘদিন যারা আপনার সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছেন, তাদের অনেকেই এখন আপনার পাশে
নেই। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা হলো না পাওয়ার জ্বালা। সব সময় তো সবাইকে সবকিছু দেওয়া যায় না। না
পেয়ে অনেকে মান-অভিমান করে দূরে চলে গেছে। এদের সঙ্গে দলের একজন কর্মীও নেই। জামায়াত- বিএনপির উসকানিতে তারা মাঠে হাঁটাহাঁটি করে।
এদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মী নেই। ভোটের মাঠে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD