গোলাম হোসাইন তামজীদ।।
জেলা গোয়েন্দা শাখার একাধিক টিম কুমিল্লা জেলার সকল উপজেলার থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে জেলার চিহ্নিত ও পেশাদার সংঘবদ্ধ মোটর সাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় ৯ জন সদস্যকে ১১ টি মটর সাইকেলসহ আটক করে। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মান্নান বিপিএম(বার) বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা পুলিশের কার্যালয়ে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন। আসামীরা হলো ০১) মোঃ শাকিব (৩৪), পিতা-রেশমত আলী, গ্রাম- শাকতলা, ০২) মোঃ সৈকত (২২), পিতা- শহিদ মিয়া, মাতা-নাসিমা, গ্রাম- মধ্যম আশ্রাফপুর, উভয় উপজেলা সদর দক্ষিণ মডেল, ০৩) মোঃ শাহদাত হোসেন (৩৮), পিতা- মৃত সুরুজ মিয়া, গ্রাম- দত্তপুর, লালমাই উপজেলা, ০৪) আল আমিন (২৫), পিতা- দেলোয়ার হোসেন, গ্রাম-কলেজ পাড়া, উপজেলা সদর দক্ষিণ, ০৫) মোঃ রিপন (৩৫), পিতা-আব্দুল মান্নান, গ্রাম- দত্তপুর, উপজেলা লালমাই, ০৬) মোঃ রাকিবুল হাসান রিয়াদ (২৬), পিতা- মোঃ জসিম উদ্দিন , গ্রাম- বালুতোপা (সর্দার বাড়ী), বর্তমানে গ্রাম- ভাটকেশ, উপজেলা কোতয়ালী মডেল, ০৭) মোঃ মাসুদ (২৮), পিতা- হোসেন মিয়া ড্রাইভার, গ্রাম- নুরপুর, উপজেলা আদর্শ সদর জেলা-কুমিল্লা, ০৮। মোঃ আজাদ হোসেন আবাদ (৩১), পিতা-শফিক মিয়া, মাতা-নুরজাহান বেগম, গ্রাম- বালুতুপা,উপজেলা আদর্শ সদর, ০৯) মোঃ সায়মন (৩৩), পিতা-মৃত মজিবুর রহমান, গ্রাম- রামচন্দ্রপুর উপজেলা আদর্শ সদরকেগ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের হেফাজত হতে চোরাইকৃত পুরাতন ১১ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রাজেস বড়ুয়া পিপিএম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কুমিল্লা জেলা কেন্দ্রীক বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহরে তাদের একটি বড় সিন্ডিকেট আছে। তারা উক্ত সিন্ডিকেট এর সাহায্যে বিভিন্ন জায়গা হতে মোটর সাইকেল চুরি করার সাথে সাথে তাদের সদস্যদের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় এবং পার্শ্ববর্তী দেশে বিক্রয়/পাচার করে থাকে। জেলা তাছাড়া আসামীরা আরো জানায়, মোটরসাইকেল পাচার করে তারা। টাকার বদলে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং উক্ত মাদক কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের নিকট বিক্রয় করে থাকে।তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ১ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও উপরোক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত আসামী ০১) শাকিব এর বিরুদ্ধে ০৭টি মামলা, ০২) সৈকত এর বিরুদ্ধে ০৭টি মামলা, ০৩) মোঃ রাকিবুল হাসান রিয়াদ এর বিরুদ্ধে ০৬টি মামলা, ০৪) মাসুদ এর বিরুদ্ধে ০২টি মামলা, ০৫) আজাদ হোসেন আবাদ এর বিরুদ্ধে ০২টি মামলা, ০৬) মোঃ সাইমন এর বিরুদ্ধে ০১টি মামলাসহ আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক, অস্ত্র, হত্যা, ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা আছে বলে জানা যায়৷ অন্যান্য পলাতক আসামী গ্রেফতার ও চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।