নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের লাকসামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ করতে দেয়নি প্রশাসন। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে জেলায় জেলায় সমাবেশ করার ঘোষণা অনুযায়ী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে রবিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টায় লাকসাম বাইপাস হাউজিং এস্টেটে সমাবেশ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন সমাবেশ করতে দেয়নি। প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার নিন্দা জানান জেলা নেতৃবৃন্দ।
বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (PR) পদ্ধতির প্রবর্তন এবং দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি রোধ করে জনদূর্ভোগ লাঘবের দাবীতে লাকসামে কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জেলা সমাবেশ-এর আয়োজন করা হয়। কিন্তু প্রশাসনিক অনুমতির সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পরেও শেষ মুহুর্তে স্থানীয় প্রশাসন সমাবেশ করতে দেয়নি।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষণিক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আজ বিকাল ৩টায় লাকসাম আইএবি মিলনায়তনে (জেলা কার্যালয়) সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুদ্দীন হামিদী বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর দেশব্যপী কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে আমরা কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে সমাবেশ করতে চেয়েছি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরোমনাই। কিন্তু প্রশাসনের সাথে বার বার যোগাযোগ করার পরেও প্রশাসন আমাদেরকে সমাবেশ করার অনুমতি না দিয়ে নাগরিক অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সভা-সমাবেশ ও মিছিল করা সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার। এ অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার দেশে বাকশাল কায়েম করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা শরাফত করীম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আহমাদ উল্লাহ খালিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ শাহাদাত হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লাকসাম থানা শাখার সভাপতি মাওলানা ইস্রাফিল মাহুমুদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ঘটার পর দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সরকার সভা-সমাবেশে বাধা দিয়ে নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। প্রতিবাদে দেশের সাধারণ জনগণ সোচ্চার। জনতার রুদ্ররোষ সমাবেশে বাধা দিয়ে দমিয়ে রাখতে পারবে না। পীর সাহেব চরমোনাই একজন মানবতাবাদী নেতা। কাজেই পীর সাহেব চরমোনাই’র সমাবেশে বাধা দিয়ে সরকার নিজেদের সর্বনাশা পতন ডেকে আনছে। এর আখের ভাল হবে না। জনতা জেগে উঠছে। বাকশালী সরকারের পতন অনিবার্য।