ইমরান হোসেন সোহান, স্টাফ রিপোর্টার, নাঙ্গলকোট।।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ৭৮৭ ট্রেন ৫৮৪ জন যাত্রী নিয়ে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রবিবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টায় দিকে পৌছালে আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীবাহী ৫টি বগি এবং ইঞ্জিন, মালবাহী কনটেইনার ট্রেনের গার্ড ব্যাক্র ও ১টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ ও ধুমড়ে মোচড়ে গিয়ে বিভিন্ন দিকে এলোপাতাড়ি ছিটকে পড়ে যায়। এতে করে প্রায় অর্ধকিলোমিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়। আহত যাত্রীদেরকে স্থানীয় হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং গুরুতর আহত যাত্রীদেরকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাত আনুমানিক ২টা থেকে চট্টগ্রাম ও লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে দু’টি রিলিফ ট্রেন এসে দুর্ঘটনা কবলিত সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্ধার কাজ করছে। এ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে ৩ ঘন্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
এ ঘটনায় আখাউড়া লোক মাস্টার হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা সোমবার রাত ২টায় ঘটনাস্থল এসে উদ্ধার কাজ আরম্ভ করি আশা করি সোমবার দিনব্যাপী কাজ শেষ করতে না পারলে আজ মঙ্গলবার উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব বলেন, কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মোশারফ হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি তদন্ত গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে সঠিক তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক আবিদুর রহমান বলেন, ট্রেন দুঘর্টনা রাত ব্যাপী উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দু’টি রিলিফ ট্রেন। আশা করা যায় সোমবারের মধ্যে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মোঃ ইমরানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট ১টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মালবাহী কনটেইনার ট্রেনের পরিচালক সজিব বিশ্বাস, আরএমভি রিয়াদ মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা রবিবার গার্ড ব্রেকে ইফতার শেষ করে দেখতে পাই চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন মেইন লাইন থেকে হঠাৎ করে লুপ লাইনে প্রবেশ করে কনটেইনার ট্রেনের উপর উঠে পড়ে। তাৎক্ষণিক আমরা দৌড়ে প্রাণে বেঁচে যাই।