শামীম রায়হান ॥
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, আর সেই সাথে নতুন কাপড় পরিধান। এরই অংশ হিসেবে ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দাউদকান্দি দর্জি কারিগররা। গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের সাথে তাল মেলাতে ব্যস্ত সময়পার করছেন পোষাক কারিগররা। সময় আর আধুনিকতা এসবের সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোশাক তৈরিতেই এখন তাদের মনোযোগ। কখনও সালোয়ার কামিজ বা কখনো পাঞ্জাবি তৈরিতে মেশিনে অবিরত চলছে খরখর শব্দে কর্মব্যস্ত দর্জি কর্মীরা। জমছে নতুন নতুন পোশাকের সারি। ঈদে ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ ছোট বড় সকলে নতুন নতুন জামা কাপড় পরিধান করে থাকে।
দাউদকান্দি পৌর বাজারসহ উপজেলার চৌধুরী সুপার মার্কেট, নূর সুপার মার্কেট, আহম্মদিয়া প্লাজার প্রত্যেকটি দর্জির দোকান ঈদের নতুন জামা তৈরিতে ব্যস্ত আর উৎসব আসলেই বিপণী বিতানগুলোতে নারী-পুরুষের পদচারণা বাড়তে থাকে। তবে, দর্জির দোকানগুলোতে তরুণী ও বিভিন্ন বয়সের নারীদের উপস্থিতি বেশ লক্ষ্যনীয়। তৈরীকৃত পোশাক অনেক সময় শরীরের সাথে পুরোপুরি মানানসই হয় না বিধায় দর্জি দোকানে সেলাই করা পোশাকের প্রতি আগ্রহ থাকে বেশি। নাওয়া খাওয়া কথাবার্তা বলার সময় নেই তাদের। শুধুমাত্র গ্রাহকদের সময় মত অর্ডার এবং দেওয়ার জন্য যত ব্যস্ততা। আহম্মদিয়া প্লাজায় আসা ক্রেতারা জানান, ছেলেমেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী ভাল কাপড় কিনে পছন্দের পোশাক তৈরীর জন্য দর্জির দোকানে আসা। কেউ পছন্দ করে তৈরীকৃত পোশাক, আবার নিজ পছন্দের ডিজাইনে তৈরি করা পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এক্ষেত্রে তরুণ তরুণীদের আগ্রহই বেশী।
শিলামনি টেইলাসের স্বত্বাধিকারী মিজান জানান, ক্রেতারা কাপড় কিনে বিভিন্ন দর্জির দোকানে তাদের পছন্দের পোশাক বানাচ্ছে। এদিকে, কয়েকটি দর্জি দোকান গুলোতে অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ করে রাত অবধি ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক দেয়া যায়। কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মান সম্পন্ন পোশাক তৈরীর জন্য অর্ডারীরা ছুটছেন পৌরশহরসহ আশেপাশের বিভিন্ন মানসম্পন্ন টেইলার্সে।
শিলামনি টেইলাসের স্বপন টেইলার্স, নিউ জামান টেইলাস,মিতালী টেইলার্স,রাজিব টেইলাস ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের অর্ডার নিতে ব্যস্ত। কেউ কেউ অর্ডার নিচ্ছেন, আবার অনেক দোকানে অর্ডার নেয়া কমিয়ে দিয়েছে। কারিগররা বলেন, তরুণ তরুণীদের অর্ডার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তারা তাদের পছন্দের কাপড় ও ডিজাইনে সেলাই অর্ডার দিচ্ছেন। রোজার শুরুর আগে থেকেই অর্ডার নেয়া শুরু করা হয়েছে। এদিকে চৌধুরী সুপার মার্কেটের স্বপন টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী স্বপন মিয়া জানান, এবার সাধারণত রমজানের আগেই থেকে কাজের চাপ বেড়ে গেছে। এখনো অর্ডার নেয় বন্ধ করা হয়নি। তবে মজুরী ডিজাইনের প্রকার ভেদে ২৫০ থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত৷
রাজিব টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মেহেদি হাসান রাজিব জানান, রোজার কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার পাওয়া শুরু হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ফ্যাশন ডিজাইনের পোশাক বানানোর কারণে ক্রেতারা এখানে আসেন। এই ঈদে বাড়তি চাপ থাকে। এদিকে দর্জির দোকানে আসা কয়েকজন অর্ডারী জানান,অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারও মজুরী বেড়েছে ।