ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি:
কেন্দ্রীয় মজলিস শুরার সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এডভোকেট ড. মোবারক হোসাইন বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার এদেশের মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিলো। দিনের ভোট রাতে, কখনো বিনা ভোটে, কখনো ডামি ভোটে ক্ষমতা দখল করেছিলো। খুন, গুম, রাহাজানির মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিনত করেছিলো। একবছর আগে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাস্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এদেশের আপামর ছাত্রজনতা ঝাপিয়ে পড়েছিলো। ক্ষমতালোভী ফ্যাসিস্ট সরকার সেসময় দুই হাজার ছাত্রজনতাকে শহীদ করে। আহত ও পঙ্গত্ব বরণ করে আরও ত্রিশ হাজার ছাত্রজনতা। এখনো পর্যন্ত এ বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হয়নি। তাই অবিলম্বে ফ্যাস্টিস্ট আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসী, খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই বিপ্লবের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত গণমিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ড. মোবারক হোসাইন আরও বলেন- আওয়ামী সরকার সবচেয়ে বেশী জুলুম করেছিলো জামায়াত নেতাকর্মীদের উপর। জামায়াতের সব অফিস দখল ও ভাংচুর করা হয়। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারের নামে ফাঁসি দিয়েছে। এমনকি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও দাঁড়ি পাল্লা প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে মহান আল্লাহপাক জামায়াতকে দলের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছে। আগামীতে মহান আল্লাহপাকই জামায়াতে ইসলামীকে বিজয় এনে দেবে।
বিকাল সাড়ে ৩টায় আয়োজিত গণমিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মো. রেজাউল করিম।
শুরুতে গণমিছিলটি ব্রাহ্মণপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে বের হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া সদর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আল্লাহর ৯৯ নাম চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মিজানুর রহমান আতিকী।
পরিচালনা করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম ভূইয়া।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আনিসুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য কাজী আবদুল হান্নান সরকার, মাওলানা আব্দুর রহমান, আধ্যপক আমীরুল ইসলাম, মাওলানা মাঈন উদ্দিন সাইদ, আমিনুল ইসলাম, মাওলানা আইয়ুব খান পাঠান সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সেক্রেটারিসহ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।